মাঘের অর্ধেক পেরতেই ২০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা, শীতের বিদায় নিয়ে জল্পনা শুরু
বর্তমান | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জানুয়ারির শেষলগ্নে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। মাঘ মাসের অর্ধেক সবে পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শীত কি তড়িঘড়ি বিদায় নিতে চলেছে? এই প্রশ্ন অনেকের মনে। তবে আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন, তাপমাত্রা ফের কমবে। অন্তত আর একদফায় শীতের ছোঁয়া মিলবে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকায়। তবে তার জন্য দিনকয়েক অপেক্ষা করতে হবে। আগামী সপ্তাহে, ৪ ফেব্রুয়ারির পর কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের ১৪-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, পশ্চিম হিমালয়ে আসা পশ্চিমী ঝঞ্ঝাগুলির মধ্যে কিছুটা বিরতি পাওয়া গেলেই শীতের আমেজ পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের আপাতত বার্তা, ১-৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরপর দুটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রভাব ফেলবে। ঝঞ্ঝা এলেই তার প্রভাবে পশ্চিম হিমালয় এলাকায় তুষারপাত এবং সংলগ্ন উত্তর ভারতে বৃষ্টি হয়। তখন থমকে যায় উত্তুরে হাওয়াও। ঝঞ্ঝা বিদায় নিলে উত্তুরে হাওয়া আসতে শুরু করে। উত্তর ভারত হয়ে সেই হাওয়া রাজ্যে পৌঁছলে কনকনে শীতের কামড় অনুভূত হয়।
সম্প্রতি একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসেছিল পশ্চিম হিমালয়ে। তারপর আরও দুটি আসতে চলেছে। তাই আগামী কয়েকদিন কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় শীতের আমেজ সেভাবে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া অধিকর্তার কথায়, আগামী কয়েকদিন কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ থেকে ২১-২২ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (২১ ডিগ্রি) স্বাভাবিকের থেকে ৬.৭ ডিগ্রি বেশি ছিল। কলকাতা সংলগ্ন দমদম ও সল্টলেক এবং দুই মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে। উপকূলবর্তী ও তার কাছাকাছি এলাকা থেকে শীত কার্যত বিদায় নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়লেও সেখানে অল্প শীতের আমেজ এখনও আছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঊর্ধ্বে। উত্তরবঙ্গে শীতের বিশেষ হেরফের হয়নি। দার্জিলিংয়ে এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৬ ডিগ্রি। পাহাড় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-১১ ডিগ্রির আশপাশে ছিল।