• ‘হঠাৎ সামনে দেখি বাঘ দাঁড়িয়ে’, আতঙ্কে মূর্ছা গেলেন বাঁকুড়ার রাধিকা
    এই সময় | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • বন্যরা বনেই সুন্দর, রোজনামচার জীবনে পথে ঘাটে বাঘ দেখলে আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু বাঁকুড়ার এক মহিলার দাবি, তিনি বাঘের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাড়ি লাগোয়া জঙ্গলে। কোনওমতে বাড়ি ফিরে জ্ঞান হারান তিনি। 

    ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের ডুবখানা গ্রামের। ওই গ্রামের মহিলা রাধিকা মাণ্ডি দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তিনি বাঘের মুখোমুখি হন। কয়েক সেকেন্ড হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় তাঁর। তিনি সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে বেগতিক বুঝতে পেরে সটান দৌড় দিয়ে বাড়িতে পৌঁছন এবং অজ্ঞান হয়ে যান। পরে বনদপ্তরের তরফে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। 

    রাধিকা জোরালো গলায় দাবি করছেন, তিনি বাঘই দেখেছেন। যদিও এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ মুখ্য বনপাল কেন্দ্রীয় চক্র এস কুলানডাইভেল জানিয়েছিলেন,  ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন জঙ্গলে চক্কর দিয়ে ফের ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছে বাঘ। স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেয়েছিল  বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। সেক্ষেত্রে এই বাঘ এল কোথা থেকে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বন দপ্তরের তরফে রানিবাঁধ জঙ্গল লাগোয়া সুতান, খাতাম, ডুবুখানা, গোয়ালমুড়ি-সহ অন্যান্য গ্রামগুলিতে সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে বন দপ্তর। সাধারণ মানুষকে জঙ্গলে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। যদিও বাঘ কি সত্যিই এখনও বাঁকুড়াতে রয়েছে? এই বিষয়ে বন দপ্তরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। 

    ডিসেম্বরে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া হয়ে বাঁকুড়ায় ঢুকে পড়েছিল ওডিশার সিমলিপালের বাঘিনি জ়িনাত। পরে ২৯ ডিসেম্বর বাঁকুড়ার গোসাইডির জঙ্গলেতাকে ট্র্যাঙ্কুলাইজ় করে বন দপ্তর। পরে তাকে ওডিশায় পাঠানো হয়। এরপরে ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ঢুকে পড়ে একটি পুরুষ বাঘ। যদিও তা ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছিল বলে জানানো হয়। সেক্ষেত্রে সেই বাঘটিকেই কি দেখেছেন ওই মহিলা? নাকি অন্য কোনও জন্তু দেখে ভয় পেয়েছেন তিনি? উঠছে প্রশ্ন। 

  • Link to this news (এই সময়)