বৃহস্পতিবার রাতে ই এম বাইপাসের ধারে আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু হলো এনআরএস হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত তরুণীর সঙ্গীর খোঁজ করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে জটিলতার কারণেই খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে।
বৃহস্পতিবার রাত সওয়া ন'টা নাগাদ ইএম বাইপাসের মেট্রোপলিটন মোড় সংলগ্ন এলাকায় বাইপাস ধাবার কাছে বছর ২৪ বয়সি ওই তরুণীকে ছুরি দিয়ে একাধিকবার কোপানো হয়। তাঁর কোমরে, গলায় এবং পেটে গুরুতর চোট লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তরুণীকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।
খাস কলকাতায় এই ধরনের ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে। তদন্তে নেমে ওয়াসিম আক্রম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আটক করা হয়েছে শাহাজাদি ফারুক (৩৪) নামে এক মহিলা ও তাঁর ১৬ বছরের ছেলেকে। নাবালকের খুড়তুতো ভাই ওয়াসিম আক্রম।
পুলিশ সূত্রে খবর, শাহজাদির স্বামী মহম্মদ ফারুক আনসারির সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল মৃত তরুণীর। আর সেই রাগ থেকেই হামলার পরিকল্পনা বলে পুলিশের সন্দেহ। নাবালক পুলিশকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তার বাবা একটি গাড়িতে করে ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ে অন্য একটি গাড়িতে ফারুকের পিছু নেন তাঁরা তিন জন এবং এক চালক। জিপিএস ট্র্যাকারের সাহায্যে মহম্মদ ফারুক আনসারির গাড়িটিকে ফলো করেন তাঁরা। হামলার সময়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান নাবালকের বাবা। পলাতক ওয়াসিমদের গাড়িটির চালকও। তাঁদের খোঁজ চলছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফারুক আনসারির খোঁজ করছে পুলিশ। পরে ওই ঘটনায় ওয়াসিম আক্রমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।