কলকাতার বুকে প্রকাশ্যে তরুণীকে একের পর এক ছুরির কোপ। ফিল্মি কায়দায় রাস্তায় তরুণীকে ধাওয়া করে গলার নলি কেটে দেওয়া হয়। রাতে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। গলায় অস্ত্রোপচার করেও শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রয়েছে এক ১৬ বছর বয়সী নাবালকও। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁর সামনে।
জানা যায়, এক ব্যক্তি ও ওই তরুণী বাইপাসের ধারের রাস্তায় চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় গাড়ি নিয়ে আসেন ওই নাবালক, তাঁর মা ও আরও এক ব্যক্তি। অভিযোগ তরুণীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নাবালকের বাবার। সেই রোষেই তাঁকে ধাওয়া করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ। জনবহুল এলাকায় আচমকাই তরুণীর উপরে চড়াও হয় তাঁরা। প্রাণ বাঁচাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়ে পালাতে যায় তরুণী। রাস্তার সবার কাছে সাহায্য চান। এরপর নাবালক তরুণীকে ধরে ফেলে দেওয়ালে ধাক্কা দিয়ে গলা কেটে দেয়।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশকর্মীরা এসে তরুণীকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এক নাবালক সহ তিন জনকে।
জানা যায় মৃতার নাম রোফিয়া শাকিল (২৪)। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। খুনের পিছনে কী কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্ত নাবালকের বাবার সঙ্গে আহত তরুণী বাইপাসের ধারে রেস্তোরাঁয় চা খেতে এসেছিলেন। একটি বিলাসবহুল গাড়িতে আসেন তাঁরা। ওই গাড়ি ধাওয়া করে আসেন নাবালক ও তাঁর মা ও আরও এক যুবক। রেস্তোরাঁর সামনে পৌঁছতেই গাড়ি থেকে নেমে ওই নাবালক তরুণীর উপরে চড়াও হয়। ছুরি দিয়ে পরপর কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তরুণীর সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তি। পুলিশ এলে স্থানীয়রা নাবালককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তরুণীকে উদ্ধার করে রাতে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তরুণীর।