• ‘আরজি করে দুর্নীতি মামলার বিচারে পদ্ধতিগত দেরি হচ্ছে’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
    এই সময় | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি নিম্ন আদালতকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৭ দিনের মধ্যে ট্রায়াল শুরুর নির্দেশ পরিমার্জন করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ওই মামলায় ইতিমধ্যে একটি লিখিত আবেদন করেছেন সন্দীপ এবং অন্য অভিযুক্ত আশিস পাণ্ডে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন তাঁদের আইনজীবী। 

    সন্দীপ এবং আশিসের বক্তব্য ছিল, হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে সিবিআই ৩ দিনের মধ্যে চার্জ ফ্রেম করতে চাইছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। তাই হাইকোর্টের আগের দেওয়া রায় পরিমার্জনের আবেদন করেন তাঁরা। শুক্রবার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি অবশ্য বিশেষ আমল দেননি। তিনি অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেলকে নোটিস পাঠিয়ে ফের আবেদন করার পরামর্শ দেন। 

    পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আরও পরামর্শ দেন, নিম্ন আদালতে গিয়ে তাঁদের বক্তব্য পেশ করার জন্য। পাশাপাশি কেন ৭ দিনের মধ্যে বিচার শুরুর নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন, তাও ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি।

    বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘আরজি করে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বিচারে সিস্টেমেটিক ডিলে (পদ্ধতিগত দেরি) হচ্ছে। তা কে করছে, কেন করছে, সেই দিকে আমি যাচ্ছি না। কিন্তু গত নভেম্বরে চার্জশিট দেওয়ার পরেও ট্রায়ালে দেরি হচ্ছে তা লক্ষ্য করেছি।’

    উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মুখ বন্ধ খামে এই মামলায় রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। সেই সময়েই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন আর জি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিচার শুরু করতে হবে।

    আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলাতে বৃহস্পতিবার তদন্তকারী অফিসারকে শো-কজ় করেন আলিপুর বিশেষ আদালতের বিচারক। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ এবং চার্জ গঠনের জন্য রাজ্যের সম্মতি পাওয়া গিয়েছিল ২৭ জানুয়ারি। ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট-সহ রাজ্যের সম্মতি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু ৩ দিন কেটে গেলেও সেই সম্মতির বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়নি নিম্ন আদালতে। কেন মামলার এই গুরুত্বপূর্ণ নথি নিম্ন আদালতে জমা দিতে দেরি হলো তা লিখিতভাবে তদন্তকারী অফিসারকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

  • Link to this news (এই সময়)