• ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যালে ভুয়ো শংসাপত্রে ডাক্তারিতে ভর্তি, বিতর্ক
    এই সময় | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভুয়ো এসটি সার্টিফিকেটের মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ঘিরে তৈরী হলো বিতর্ক। বুধবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে ডাক্তারি পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল করার দাবি জানানো হয়।

    প্রিন্সিপাল উৎপল দাঁ বলেন, ‘অভিযোগ আসার পরেই বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবন ও ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে জানানো হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে তেমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অভিযুক্ত ডাক্তারি পড়ুয়া অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া পরমব্রত রায় নিট পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৩ সালে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, পরমব্রত প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর সাব-ডিভিশনাল অফিস থেকে ২০২৩ সালের ৫ জুন এসসি (তফসিলি জাতি) শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। পরে মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে, ১১ অগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সাব-ডিভিশনাল অফিস থেকে আর একটি এসটি (তফসিলি উপজাতি) শংসাপত্র সংগ্রহ করেন এবং সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতেই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন বলে অভিযোগ।

    পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য যুব সম্পাদক হিরন্ময় হাঁসদার অভিযোগ, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসের ৯ তারিখে বিসিডব্লিউ (ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস ওয়েলফেয়ার) বিভাগের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, পরমব্রত রায়ের এসটি শংসাপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। তবুও তিনি মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং তাঁর শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাই তাঁর ভর্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’

    পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির যুব শাখার সভাপতি দিব্যেন্দু সোরেন ও সংগঠনের মহিলা সদস্য অনুপমা মাইতি বলেন, ‘এক ব্যক্তি কী ভাবে একই সময়ে দু’টি ভিন্ন জাতিগত শংসাপত্র পেতে পারেন? রাজ্য সরকারের ৬ শতাংশ এসটি সংরক্ষণ নীতির অপব্যবহার যদি এ ভাবে চলতে থাকে, তা হলে প্রকৃত তফসিলি জনজাতির ছাত্র-ছাত্রীরা কোথায় যাবে?’ অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত ডাক্তারি পড়ুয়া পরমব্রত রায় ফোনে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

  • Link to this news (এই সময়)