যোগেশচন্দ্র ল কলেজে সরস্বতী পুজো করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কলেজে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশি নিরাপত্তায় কলেজে সরস্বতী পুজো করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার কোনও অফিসারের উপস্থিতিতে পুজো করতে হবে বলেও শুক্রবার আদালত জানিয়ে দিয়েছে।
যোগেশ চন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের একই ক্যাম্পাস। ল কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, তাঁরা যেখানে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন, সেই জায়গা বহিরাগতরা দখল করে নিয়েছে। আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ছাত্রী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুক্রবার মামলাটির শুনানি হয়। আদালতের নির্দেশ, যোগেশচন্দ্র ল কলেজে পুজোর আয়োজন হবে। পুলিশকে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ করেছিল, সাব্বির আলি নামে এক বহিরাগত কলেজে ঢুকে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁর দলবল কলেজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ ছিল। চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি কলেজের অধ্যক্ষের কাছেও লিখিত অভিযোগ জমা দেন কলেজ পড়ুয়ারা। ল কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায় এই ঘটনার তীব্র নিন্দাও করেছিলেন।
কলেজে পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যাঁরা পুজো বন্ধ করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাইকোর্ট নিজেও ব্যবস্থা নিতে পারে।’