• সিঙাড়ার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে বহুদূরে, অশীতিপর সুরবালা মণ্ডলকে লোকে ডাকেন 'সিঙাড়া দিদা' নামে...
    আজকাল | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: যে বয়সে পৌঁছে সুরবালা মণ্ডল নিজের একটি দোকান চালাচ্ছেন সে বয়সে পৌঁছে অধিকাংশ মানুষই শয্যাশায়ী হয়ে যায়। অসুখবিসুখ হয়ে ওঠে নিত্যসঙ্গী। কিন্তু অশীতিপর সুরবালা মণ্ডলকে দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই‌। শীতের কাঁপুনি থেকে গ্রীষ্মের খরতাপ, সব কিছু উপেক্ষা করে সারাদিন তিনি তৈরি করে যাচ্ছেন সিঙাড়া। লোকের কাছে তিনি পরিচিত 'সিঙাড়া দিদা' নামে। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের অন্দরান ফুলবাড়ির নাটাবাড়ি রোডে তাঁর দোকান। গত ৩৭ বছর ধরে সেখানেই সাধের দোকানটি চালাচ্ছেন সুরবালা মণ্ডল।

    এই মুহূর্তে যেখানে জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য সেখানে সিঙাড়া দিদা তাঁর সিঙাড়া বিক্রি করছেন মাত্র আড়াই টাকা দামে। এতটাই তার চাহিদা, তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। স্বাদের জন্য  তুফানগঞ্জ ছাড়িয়ে আশেপাশের এলাকায় তাঁর সিঙাড়ার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। 

    সিঙাড়া দিদা'র কথায়, 'খুব ছোটবেলা থেকেই এই কাজ করে আসছি। তাই আমার কোনও ক্লান্তি নেই। আর আমার সবসময় চেষ্টা থাকে যাতে আমার দোকান থেকে কেউ খিদে পেট নিয়ে ফিরে না যায়।' লোকের কথায়, বাইরের মুচমুচে আবরণের ভিতর সুস্বাদু আলুর পুরটা মুখে ঢুকে যেন ধীরে ধীরে গলে যায়। স্বাদটা ছড়িয়ে পড়ে গোটা মুখে। তাই অনেক দুর থেকেও লোকে এসে ভিড় জমান তাঁর দোকানের সামনে। 

    স্থানীয় বাসিন্দা মানসী মণ্ডল বলেন, 'আশি বছর বয়সী কোনও মহিলা যে একার হাতে দোকান চালাতে পারে সেটা সত্যি কল্পনার বাইরে। সুরবালা মণ্ডলের কথায়, 'কাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে পড়লে শরীর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। আমি রান্না করতে এবং মানুষকে খাওয়াতে ভালোবাসি। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এটাই করে যেতে চাই আমি।'
  • Link to this news (আজকাল)