দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি, ক্লোজ পুলিশকর্মী
দৈনিক স্টেটসম্যান | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। ক্লোজ করা হল পুলিশকর্মী শেখ শাহজাহানকে। তিনি তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মনিরুলের দেহরক্ষী। অভিযোগ, দু’পক্ষের গন্ডগোল চলাকালীন পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি দিয়েছেন শেখ শাহজাহান। হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কেন ওই পুলিশকর্মীকে পিস্তল বার করতে হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে।
বুধবার থেকে নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষুদ্র রামপুর হাইস্কুলে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। বুধবার নির্বিঘ্নে ক্যাম্প পরিচালিত হলেও বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্প শুরু হলেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এক পক্ষ তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহ রায়ের গোষ্ঠী। আর অপর পক্ষ হল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মণিরুলের গোষ্ঠী। দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে লাঠালাঠি হয়। সেই সময়ই উপপ্রধানের দেহরক্ষী শেখ শাহজাহান বন্দুক তুলে ধমকান প্রতিপক্ষকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে সেই ছবিও দেখা গিয়েছে।
মূলত সাধারন মানুষকে ক্যাম্প থেকে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী পরিষেবা দেবে এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম বিবাদ শুরু হয়। গন্ডগোলের পরেই ক্যাম্পের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে ফের ক্যাম্প শুরু হয়।
উপপ্রধান শেখ মণিরুল অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করতে চাননি। তিনি বলেন, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। এখানে তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিজেপি কর্মীরা এই কাজ করেছে। বিরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করেছেন। তিনি যদি এখন বিধায়ক গোষ্ঠীর হয়ে থাকে, তাহলে আমার কিছু জানা নেই, তা বিধায়কই ভালো বলতে পারবেন। নিরাপত্তারক্ষীর বন্দুক বার করার বিষয়টি নিয়ে উপপ্রধান বলেন, ধাক্কাধাক্কির সময় ওঁর বন্দুক ছিনতাইয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তা বাঁচাতেই বন্দুক হাতে নিয়ে নেয় রক্ষী।