জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: মহাকুম্ভে বিপর্যয়! পদপিষ্ট হয়ে মৃতের তালিকায় বাংলার ৩। 'প্রস্তুতি কম, প্রচার বেশি', উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'এই জিনিসটাই যদি অন্য কোনও রাজ্য়ে হত, বিশেষ করে বিজেপি বিরোধী রাজ্য, যদি তামিলনাড়ুতে হত বা বাংলায় হত, বা অন্য কোনও রাজ্য়,যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা বলা হত'।
অভিষেক বলেন, 'ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতদিন ধরে কুম্ভ চলছে, এবং মহাকুম্ভ ১৪৪ বছরে একবার আসে, সবই ঠিক আছে। মানুষ যখন যাবে, একটা ন্যূনতম ব্যবস্থা বা প্রস্তুতি তো দরকার। প্রস্তুতি কম, ব্যবস্থাপনা কম, পরিকল্পনা কম। প্রচার বেশি। খালি মার্কেটিং, পরিকল্পনা নেই'। সঙ্গে দাবি, এখন সরকারি পরিসংখ্যান দিতে পারে, কখনও বলবে ৩০ জন, কখনও বলবে ৪০ জন। সংখ্যাটা ১০০ পেরিয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। গবীর মানুষের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। বড় বড় উদ্যোগপতিরা যাচ্ছেন, নেতামন্ত্রীরা যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য VVIP ব্যবস্থা'!
চুপ করে থাকেনি বঙ্গ বিজেপি। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'উত্তরপ্রদেশ সরকার কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কুম্ভে ডেকে আনেনি। মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ, জনপ্লাবনকে এই ধরণের অসুস্থ বিবৃতি কোনওদিন আটকে রাখতে পারবে না। যাঁরা পর্যটকরা দিয়েছেন, প্রত্য়েককেই ব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত প্রশংসা করেছেন'।
শমীকের আরও বক্তব্য, 'দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, হৃদয়বিদারক। বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাঁরা রাজনীতি করতে চাইছেন, তাঁরা মৃতদেহের রাজনীতি করেই অভ্যস্ত থাকেন। তাঁদের মনের আয়নায় অন্যের প্রতিচ্ছবি দেখার চেষ্টা করছেন। দণ্ডোত্সব, চিড়ের মেলা, পানিহাটিতে পদপিষ্ট হয়ে কত মারা গিয়েছিল, তারজন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রীর পদত্য়াগের দাবি করেছিল! পুলিস দূরে বসে নির্বাক দর্শক হয়ে থাকে, আর প্রান্তিক মানুষকে পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হয়। তাহলে কোনও নৈতিক দায়িত্ব আছে এ ধরণের কথা বলার? যাঁরা তথ্য লোপাটে কাজ করে থাকে আরজি করের ঘটনায়, তাঁরা এই ধরণের কথা বলছেন! উত্তরপ্রদেশের সরকার, বিজেপির সরকার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে'।