পূর্ব পরিকল্পিত আক্রমণ, গাড়ির জিপিএস অন করে বাবাকে ফলো! বাইপাসে তরুণী খুনে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
অর্ণব আইচ ও দিশা ইসলাম: ইএম বাইপাসের উপর তরুণীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবার গাড়ির পিছু নিয়েই ওই তরুণীর উপর হামলা চালানো হয়। ওই গাড়ির জিপিএস অন রাখা ছিল। তাহলে কি আগে থেকেই ফারাক আনসারির উপর নজর রাখা হচ্ছিল? সেই প্রশ্নই এখন আরও জোরালো হচ্ছে।
মৃতা তরুণী রোফিয়া শাকিল রাজারহাট এলাকার একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। আগে তাঁর পরিবার মধ্য কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকায় থাকতেন। কিন্তু এখন রাজারহাটের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। তিনি বিবাহিত বলেও জানা গিয়েছে। কিভাবে রোফিয়ার সঙ্গে ফারাক আনসারির আলাপ হল? স্যোশাল মিডিয়া নাকি অন্য কোনও সূত্রে দুজনের পরিচয়? সেসব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বছর চব্বিশের ওই তরুণী গতকাল সন্ধ্যায় দিদার বাড়িতে দেখা করার নাম করে বেরিয়েছিলেন। যদিও তিনি সেখানে যাননি। পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে গাড়িতে তিনি বাইপাসের রাস্তা ধরতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কিভাবে ওই গাড়িকে ফলো করা হয়? জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির গাড়িতে জিপিএস অন ছিল। এদিকে ওই ব্যক্তির নাবালক ছেলের ফোনের সঙ্গে ওই গাড়ির জিপিএস ম্যাচ করানো ছিল। জিপিএসের মাধ্যমেই গতকাল সন্ধ্যায় ওই বাড়ির গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছিল। বাবার ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হামলার ঘটনা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ফারাক ও রোফিয়ার উপর আগে থেকেই নজর রাখা হয়ে থাকতে পারে। এই সম্পর্কের বিষয় নিয়ে ফারাকের পরিবারেও অশান্তি আগে থেকে হতে পারে। সেখান থেকে হাতেনাতে দুজনকে ধরার ফন্দি আঁটা হতে পারে। সেই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তকারীরা সব কিছুই খতিয়ে দেখছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাইপাস ধাবার সামনে ওই তরুণীর উপর হামলা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে গলার নলি-সহ একাধিকবার কোপ দেওয়া হয়। রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও শেষরক্ষা হয়নি। গভীর রাতে তিনি মারা যান।