• VC নিয়োগ নিয়ে UGC-র খসড়ায় আপত্তি রাজ্যের কমিটির, অগণতান্ত্রিক-দাবি ব্রাত্যের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং উপাচার্য নিয়োগের পদ্ধতিতে সম্প্রতি বড় পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছে ইউজিসি। এনিয়ে একটি খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে। তারপরেই সব রাজ্যের কাছে এবিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই খসড়া নিয়ে রিপোর্ট দিল রাজ্য সরকারের গঠিত কমিটি। রিপোর্টে উপাচার্য এবং শিক্ষক নিয়োগের খসড়ায় উল্লেখিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের কমিটি। ইউজিসির খসড়াকে অগণতান্ত্রিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে অবমাননা বলে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটির রিপোর্ট ইউজিসির কাছে পাঠানো হবে।


    জানা যাচ্ছে, ইউজিসির খসড়া নিয়ে রাজ্য সরকারের কমিটি ১০টি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। খসড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনজনের কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের কমিটির রিপোর্টে তাতে আপত্তি তুলে পাঁচ জনের কমিটি গঠন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আচার্য, ইউজিসি, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা ছাড়াও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। কারণ জমি দেওয়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ভূমিকা থাকে। এছাড়াও, রাজ্যের কমিটির রিপোর্টে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এলিজিবিলিটি এবং সিলেকশন কমিটি গঠন করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, ইউজিসির খসড়া প্রস্তাবে নিয়োগ কমিটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে উপাচার্যকে। তা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকারের গঠিত কমিটি। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে একজন উপাচার্যকে কখনই নিয়োগ কমিটির শীর্ষে রাখা যেতে পারে না। এছাড়াও সহকারি অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে ডক্টরেট ডিগ্রি বাধ্যতামূলক না করার ওপর জোর দিয়েছে। তাছাড়া, লাইব্রেরিয়ান এবং ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টরদের শিক্ষকের পদমর্যাদা দিতে হবে বলে কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। 

    তাদের বক্তব্য, যদি ৫ সদস্যের কমিটির বিষয়ে ইউজিসি সহমত না হয় তাহলে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিকল্প আইন রয়েছে সে আইনকে মান্যতা দিতে হবে। ব্রাত্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তাঁর প্রতিনিধিকেই সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে নিশানা করা হচ্ছে। এর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ইউজিসি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করছে। কেন্দ্র পুরো ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে চাইছে। এদিকে, এই খসড়ার বিরোধিতা করে  সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।  
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)