• স্মার্ট ক্লাসরুমে পড়ুয়ারা কেমন শিক্ষা অর্জন করছে?‌ রিপোর্ট তলব করল শিক্ষা দফতর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • শৈশবের গোড়া থেকেই উন্নতমানের শিক্ষা পেয়ে বেড়ে উঠুক শিশু পড়ুয়ারা। এমনটাই চায় রাজ্য সরকার। আর তার জন্য অধিকাংশ স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম গড়ে তোলা হয়েছিল। আর তারপর সেখানে উন্নতমানের শিক্ষা দেওয়া শুরু হয়। শিশু পড়ুয়ারা স্মার্ট ক্লাসরুম থেকে উপযুক্ত শিক্ষা পাচ্ছে তো?‌ গড়ে উঠছে তো ভালভাবে?‌ এখন এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় শিক্ষা দফতর। তাই স্মার্ট ক্লাসরুম যেসব স্কুলে আছে সেসব স্কুলের পক্ষ থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। এই আবহে স্কুলগুলি এখন সেই রিপোর্ট তৈরি করতে ব্যস্ত।

    আজ, শুক্রবার স্মার্ট ক্লাসরুম থাকা তিন হাজার স্কুলের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। যার উপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে শিক্ষা দফতর। এই স্কুলগুলিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ডিআই’‌দের কাছে। ডিআই’‌রা সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবে শিক্ষা দফতরে এবং তাঁদের পক্ষ থেকেও কোনও পরামর্শ থাকলে সেটাও যোগ করবেন। আর তাই মনে করছেন অনেকে, স্কুলশিক্ষার ‘লার্নিং আউটকাম’ ভিত্তিক মডেলে এমন রিপোর্ট অত্যন্ত জরুরি। যা এবার হতে চলেছে। এই তিন হাজার স্কুল যেখানে স্মার্ট ক্লাসরুম আছে সেখানে শিক্ষার মান এবং পড়ুয়াদের জ্ঞান—দুটি বিষয় একেবারে স্পষ্টভাবে জানতে চায় শিক্ষা দফতর।


    বাংলায় দু’হাজার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে। ৬৫০টি প্রাথমিক স্কুল এবং ৪১টি সরকারি স্কুলে ই–লার্নিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে স্মার্ট বোর্ড, ডিজিটাল লার্নিং কনটেন্ট, প্রোজেক্টর, ল্যাপটপ–সহ বিশেষ সফটওয়্যার, বিশেষ ডিভাইস দেওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে। যাতে পড়ুয়ারা শুরু থেকেই উন্নতমানের শিক্ষা পায়। আর শিক্ষা দফতরের কাছে খবর এসে পৌঁছেছে, অধিকাংশ স্কুলেই এই পরিকাঠামোর সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। পড়ে রয়েছে বোর্ড, প্রজেক্টর অব্যবহৃত অবস্থায়। তার জেরে অনেক যন্ত্রপাতি অকেজোও হয়ে গিয়েছে। তাই সব কিছু কেমন অবস্থায় আছে সেটাও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে রিপোর্টে।

    এছাড়া ওয়েবেলের সহযোগিতা নিয়েই ই–লার্নিং প্রক্রিয়া স্কুলগুলিতে চলছে। এই সমস্ত স্কুলগুলিতে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। একটি সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে, স্মার্ট ক্লাসরুম চালুর পরে ১২টি শহরে পড়ুয়াদের নথিভুক্তির হার বেড়েছে ২২ শতাংশ। এসবের জেরে পড়ুয়ারা আকর্ষিত হচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি ভালবাসা তৈরি হয়েছে। সেখানে বাংলার ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে আছে। মেধা আছে ঠিকই। তবে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে জরুরি কাজের নিরিখে জাতীয় মাপকাঠির নীচে। এই আবহে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদানে জোর বৃদ্ধি করলে পড়ুয়ারা অনেকটা উপকৃত হবে বলে মনে করছে শিক্ষা দফতর।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)