হুগলির সেনগুপ্ত বাড়িতে অবশেষে ফিরল টমু। ১৬ জানুয়ারি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় সে। তারপর থেকেই খোঁজ পাওয়ার আশায় শহর জুড়ে সন্ধান চাই পোস্টারও দেন সেনগুপ্ত পরিবার। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় টমুর ছবি দিয়েও সন্ধান চাওয়া হয়। অবশেষে তার খোঁজ মিলল।
হুগলির চুঁচুড়া জোড়াঘাটের বাসিন্দা ঋতব্রত সেনগুপ্ত ও রূপা সেনগুপ্ত বছর খানেক আগে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন কুড়িয়ে পাওয়া বিড়াল ছানাকে। তখন তার বয়স এক মাস। বাড়ির গিন্নি আদর করে নাম রেখেছিলেন টমটম ওরফে টমু। তারপর থেকেই বাড়ির সদস্যরা সন্তান স্নেহে বড় করেছেন টমুকে। স্বভাবতই বিড়ালটি হারিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন সেনগুপ্ত পরিবার।
জানা গিয়েছে, টমুকে খুঁজে দেওয়ার পোস্টার ভাইরাল হতেই নানা জায়গা থেকে ফোন আসতে থাকে। কিন্তু কোনও জায়গাতেই খোঁজ মেলেনি টমুর। এমনকী তারাপীঠ থেকে তান্ত্রিক পরিচয় দিয়েও একজন ফোন করেন। তিনি বলেন, ন'শো টাকা দিলে তন্ত্র সাধনা করে টমুকে ফিরিয়ে দেবেন। যদিও সেই ফাঁদে পা দেননি সেনগুপ্তরা।
বৃহস্পতিবার রাতে চুঁচুড়ার ক্রুকেড লেন থেকে একজন ফোন করে জানান টমুর সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এমন একটি বিড়ালের দেখা মিলেছে। একটুও সময় নষ্ট না করে ঋতব্রত পাড়ার কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ক্রুকেড লেনে যান। সেখানে গিয়েই টমুকে পাওয়া যায়। এরপর বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাকে।
তবে ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া না পাওয়ায় দুর্বল হয়ে গিয়েছিল টমু। ওজনও কিছুটা কমে গিয়েছে। সাদা লোমে নোংরা লেগেছে। গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে খেয়েদেয়ে লম্বা ঘুমও দেয় সে।
রূপা সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা পোস্টার দিয়েছিলাম। ক্রুকেড লেন থেকে এক ভদ্রলোক ফোন করে জানান, টমুর মতো একটা বিড়াল পাওয়া গিয়েছে। আমরা গিয়ে টমু বলে ডাকতেই ও কাছে চলে আসে।’