মহাকুম্ভে গিয়ে নিখোঁজ বৈদ্যবাটির প্রৌঢ়, উৎকণ্ঠায় দিনযাপন পরিবারের...
আজকাল | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মিল্টন সেন: ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে মহাকুম্ভে নিখোঁজের তালিকা। এবার বৈদ্যবাটির এক প্রৌঢ় নিখোঁজ হয়ে গেলেন মহাকুম্ভে। এর আগেও মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করেছেন। ফিরেও এসেছেন। এবারে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে গিয়ে ফিরলেন না বৈদ্যবাটির বাসিন্দা দীনেশ ঘোষ। চার দিন পরেও খোঁজ নেই তাঁর। প্রতীক্ষা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। কোনও যোগাযোগ নেই। চরম উৎকণ্ঠায় পরিবার। বাবাকে খুঁজে পেতে বাধ্য হয়ে উত্তরপ্রদেশ রওনা দিচ্ছেন ছেলে হিরন্ময়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই প্রতিবেশী বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি মহাকুম্ভ যাত্রায় বেরিয়ে ছিলেন বৈদ্যবাটি জে এন গুপ্ত লেনের বাসিন্দা বছর ৪৮-এর দীনেশ। পেশায় তিনি মাছের ব্যবসায়ী। ধর্মকর্মে বিশ্বাসী দীনেশ আগেও বেনারস, কাশি, গয়ার মতো ধর্মীয় স্থানে গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালেও কুম্ভে গিয়েছিলেন। আগে কখনও এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি পরিবারকে। পরিবার জানিয়েছে, গত সোমবার সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে আনন্দ বিহার মেলে কুম্ভ যাত্রা করেন দীনেশ। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশী দুই যুবক শুভঙ্কর জানা ও সন্টু মন্ডল। মঙ্গলবার অর্থাৎ তার ঠিক পরের দিন দুপুর ২টোয় প্রয়াগরাজে পৌঁছন। বুধবার ২৯ জানুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় সঙ্গম ঘাটে স্নান করতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। শুভঙ্কর ও সন্টু অনেক খুঁজেও দীনেশ বাবুর খোঁজ পাননি। ঘাটে মাইকে প্রচার করেও খোঁজ পাওয়া যায়নি। দীনেশের পরিবারকে তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবর জানান শুভঙ্কর এবং সন্টু। প্রয়াগরাজ থেকে বেনারসে বিশ্বনাথ মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সেই মতো সেখানের নিদিষ্ট হোটেলেও যান দুই যুবক। কিন্ত সেখানেও পাওয়া যায়নি তাঁকে।
শুক্রবার বাড়ি ফিরে এসেছেন প্রতিবেশী দুই যুবক। তাঁদের থেকে সবটা জেনে নিয়ে দীনেশের ছেলে প্রয়াগরাজের জজ টাউনের হেল্পলাইনে ফোন করেন। ছবি ও নাম ঠিকানাও দেন। কিন্ত এখনও সেখান থেকে কোনও ফোন আসেননি। অসুস্থ হলেন না হারিয়ে গেলেন কিছুই বুঝতে পারছে না পরিবার। দুশ্চিন্তা বাড়ছে। ছবি পার্থ রাহা।