• আশার আলো হেলে পড়া বাড়ির বাসিন্দাদের! ট্যাংরায় বাড়ি ভাঙা শুরু হতেই কী বললেন মেয়র?
    প্রতিদিন | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনভর টানাপোড়েনের জেরে বৃহস্পতিবার ট্যাংরার ১১/২, ক্রিস্টোফার রোডের হেলে পড়া বহুতল ভাঙার কাজ শুরু হয়নি। কিন্তু শুক্রবার কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার মধ্যস্থতায় ছ-তলা বাড়ির ছাদ ভাঙা শুরু হল। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন, যদি আবাসিকরা আবেদন করেন, ওই জমিতে ‘বাংলা আবাস প্রকল্পে’ বাড়ি করে দেবে কলকাতা পুরসভা।

    শুক্রবার ওই বহুতলের আবাসিকরা বাড়ি ভাঙার লোকজন আসতেই বিক্ষোভ শুরু করেন। কিন্তু কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার দ্রুত সমাধান করে বহুতল ভাঙার কাজ শুরু করেন। পরে ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের পর মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কারও মাথার থেকে ছাদ কেড়ে নেওয়া পুরসভার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু গার্ডেনরিচের মত বিপর্যয় আর চাই না। একটি জীবন অমূল্য। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য পুর বিল্ডিং বিভাগ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেই পারত। কিন্তু সেরকম কোনও কাজ করা হবে না।”

    মেয়রের কথায়, ”হেলে পড়া বহুতলের কিছু লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বাড়ি ভাড়া করে থাকার মতো সঙ্গতি নেই। কয়েকজন কাঁদছিলেন। এখন বাড়ি ভাঙা বন্ধ করার জন্য শুনানি হতেই পারে। কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত নয়। বাড়ি ভাঙার সুপারিশ করেছে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার। তাদের উপস্থিতিতে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। কতটা ভাঙা হবে, তাও ঠিক করবেন।”

    মেয়র বলেছেন, আবাসিকরা পুরসভার কাছে আবেদন করলে বাংলার আবাস প্রকল্পে তাঁদের ওই জমিতে বাড়ি করে দিতে পারে পুরসভা। এদিন ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে মেয়র জানান, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সিসি (কমপ্লিশন সার্টিফিকেট) না পাওয়া পর্যন্ত কোনও বাড়ি অথবা বহুতল ভবনের জল, নিকাশী এবং বিদুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে না। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশ সব রাজ্যের সব পুরসভার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তাই কলকাতা পুরসভাও সিইএসসি এবং বিদুৎ পর্ষদকে এই নির্দেশ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার উত্তর কলকাতার এক বাসিন্দা জানান, দুবছর আগে তিনি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কিন্তু প্রোমোটার ফ্ল্যাট অন্য লোককে বিক্রি করে দিয়েছে। টাকাও ফেরত দেননি। এনিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁকে সমস্ত নথি পাঠাতে বলেন। জানান, তিনি ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরে অভিযোগ পাঠিয়ে দেবেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)