কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বাংলার ছ’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে নিখোঁজ অনেকেই। তাঁদের খোঁজে প্রশাসনের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ করছে পরিবার। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের।
গত বুধবার প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় শুক্রবারও বাংলার দু’জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এক জন মালদহের বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা। অন্য জন আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওয়ে থাকতেন। পরিবার এবং আত্মীয় মিলিয়ে মোট ১০ জনের সঙ্গে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন বৈষ্ণবনগর থানার অন্তর্গত বীরনগর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চড়বাবুপুর এলাকার বাসিন্দা অমিয় সাহা। পরিবারের দাবি, ভিড়ের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যুবক। ভিড় ঠেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। শুক্রবার মালদহের বাড়িতে ফিরেছে অমিয়ের দেহ।
অন্য দিকে, জয়গাঁওয়ের এনএস রোডের বাসিন্দা ৩২ বছর বয়সি মিঠুন শর্মারও মৃত্যুর খবর মিলেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল’ কোম্পানির গাড়ি চালান মিঠুন। কয়েক জন পুণ্যার্থীকে নিয়ে মৌনী অমাবস্যায় প্রয়াগরাজে যান তিনি। অন্যদের সঙ্গে তিনিও ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন মিঠুন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মিঠুনের বোন নীলম জানান, তাঁর দাদার মরদেহ এখনও ফিরে আসেনি বাড়িতে।
মহাকুম্ভে গিয়ে এ রাজ্যের এখনও পর্যন্ত ছয় জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অমিয় এবং মিঠুন ছাড়া মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন কলকাতার গল্ফগ্রিনের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুঁইয়া, পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ার বিনোদ রুইদাস, শিলিগুড়ির দীনেশ পণ্ডিতের।