• রঘুনাথপুরের মেট্যাল শহর-গ্রামে নারায়ণমন্দির প্রতিষ্ঠা ঘিরে উন্মাদনা
    বর্তমান | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: শুক্রবার রঘুনাথপুর-১ ব্লকের চোরপাহাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের মেট্যাল শহর গ্রামের কুলদেবতা নারায়ণদেবের(বুড়া বাবা) মন্দিরের পুনরায় প্রতিষ্ঠা ঘিরে উন্মাদনা দেখা যায়। গ্রামের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ পুজোয় ব্যস্ত থাকেন। ভোর থেকে গ্রামের মা, বোন এবং পাড়ার সকলে মন্দির সাজিয়ে তোলার কাজ করেন। পরে ২০১জন কুমারীকে নিয়ে কলস যাত্রা হয়। যার মাধ্যমে মন্দিরের পুনরায় প্রতিষ্ঠা হয়। কলস যাত্রার পর জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাত ফিতে কেটে মন্দিরের শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরি, রঘুনাথপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রকাশ সিংদেও, তৃণমূল নেতা সাদ্দাম আনসারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


    গ্রামবাসীরা বলেন, গ্রামে প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন বুড়া বাবা তথা নারায়ণ দেবতার পুজো হয়ে আসছে। আগে মাসের সংক্রান্তির দিন পুজো হতো। এখন অবশ্য প্রতি সপ্তাহে মন্দিরে পুজো হয়। এতদিন মন্দিরটি মাটির ছিল। সেই মন্দিরটিকে নতুনভাবে তৈরি করে প্রতিষ্ঠা করা হল। এদিনের পুজোয় গ্রামের সকলে শামিল হন। পুজোর পাশাপাশি অন্নকূটের ব্যবস্থাও ছিল। সারাদিন ধরে মন্দিরে পুজো চলে। রাতে মন্দিরে কীর্তন গান পরিবেশিত হয়।


    পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা হাজারি বাউরি বলেন, গ্রামের কুলদেবতা অত্যন্ত জাগ্রত। কয়েক পুরুষ ধরে পুজো হয়ে আসছে। পুজোয় সকলে শামিল হয়। এতদিন পাকা মন্দির না থাকায় অনেক অসুবিধা হতো। এদিন পাকা মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হল। সেই উপলক্ষ্যে গ্রামে সাজসাজ রব। প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা এসেছে। সভাধিপতি বলেন, জেলার প্রত্যন্ত এই গ্রামে সকলে যেভাবে অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছে, তা দেখে অত্যন্ত ভালো লাগছে। সকলের সঙ্গে বসে প্রসাদ খেয়েছি। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)