সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: সাঁতুড়ির শুশুনিয়াডাঙা জুনিয়র হাইস্কুলে নবীনবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়ে। নবীন ছাত্রছাত্রীদের কপালে চন্দনের ফোঁটা, হাতে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি পুরনোদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। পড়ুয়াদের শৃঙ্খলা বজায় রাখা, সময়ের মূল্য সম্পর্কে, নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, বড় স্বপ্ন, সৎ পথে চলার পরামর্শ দেন শিক্ষকরা। রাজ্যজুড়ে জুনিয়র হাইস্কুলগুলি নানা সমস্যায় ভুগছে। তবে শুশুনিয়াডাঙা জুনিয়র হাইস্কুলে সেই সমস্যা নেই। বর্তমানে বিদ্যালয়ে টিআইসি সহ পাঁচজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক জিতেন্দ্র চক্রবর্তী ও উত্তম মাণ্ডি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৩২। এবার বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ৪৬ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। অষ্টম শ্রেণি পাশ করে ২৬ জন ছাত্রছাত্রী অন্যস্কুলে ভর্তি হয়েছে। এদিন নতুন পড়ুয়াদের বরণ করে নেওয়া হয় এবং প্রাক্তন পড়ুয়াদের বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। নবীনবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন মিড ডে মিলেও বদল আনা হয়। ভাত, ডাল, বাঁধাকপির তরকারি, চিকেন, চাটনি ও রসগোল্লার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছাত্রছাত্রীরা সকলে একসঙ্গে বসে মিড ডে মিলের খাবার খায়। ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বিদ্যালয় এলাকার শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি অন্য বার্তা বহন করে চলেছে। তবে বিদ্যালয়ে গ্রুপ সি এবং সামান্য বাউন্ডারি ওয়াল না থাকার সমস্যা রয়েছে। বিদ্যালয়ের টিআইসি নিমাই রক্ষিত বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি, একের প্রতি অন্যের সৌভ্রাতৃত্ববোধ গড়ে তোলার জন্য নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিক্ষক রবিউল মণ্ডল, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষাকর্মী বিকুলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। বিদ্যালয় এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাক। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পার্থ মণ্ডল, রাজ গোপ, অহনা মণ্ডল বলে, অনুষ্ঠান হওয়ায় ভালো লাগছে। অভিভাবক উজ্জ্বল গোপ বলেন, নবীন বরণের মতো ভাবনা সত্যিই দৃষ্টান্তের।