• মাদপুর শহিদ মেলা ঘিরে উন্মাদনা, প্রথম দিনেই উপচে পড়ল ভিড়  
    বর্তমান | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাজদীপ গোস্বামী, মেদিনীপুর: খড়গপুর-২ ব্লকের ২৭তম বর্ষের মাদপুর শহিদ মেলাকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তুঙ্গে। পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম বড় এই মেলায় এবছর রেকর্ড পরিমাণে ভিড় হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। শুক্রবার ৫ কিলোমিটার দৌড় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেলার সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলার পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার, বিধায়ক অজিত মাইতি সহ বিশিষ্টজনেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মেলা ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ইতিমধ্যেই মেলা প্রাঙ্গণে জেলা সহ ভিনরাজ্য থেকেও ব্যবসায়ীরা এসে পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এবছর মেলায় এক হাজারের বেশি স্টল থাকছে। একইসঙ্গে মেলা কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া নানা প্রতিযোগিতাও আয়োজন করা হয়েছে।


    এদিন মেলা কমিটির সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, মেলায় লক্ষাধিক মানুষের ভিড় হবে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসবেন। পুলিস- প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এত বড় মাপের মেলা করা সম্ভব নয়। মেলার মাধ্যমে বহু মানুষ স্বনির্ভর হচ্ছেন। মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। 


    প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে প্রথমবার এই মেলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সেনাবাহিনীতে শহিদ হওয়া জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশে মেলা কমিটির নামকরণ হয় শহিদ মেলা কমিটি। প্রথম বছর থেকেই মেলা ঘিরে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। প্রথমদিকে মাদপুর স্টেশন সংলগ্ন মাঠে মেলার আয়োজন হয়। পরবর্তী সময়ে মেলায় জনসমাগম দিন দিন বাড়তে থাকে। এর ফলে দেখা দিত তীব্র যানজট। মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে মেলা শুরুর পাঁচবছর পর থেকে মাদপুর লেভেল ক্রসিং এলাকায় মেলা বসতে শুরু করে। 


    মেলার পাশাপাশি নানা খেলার আয়োজনও করে কমিটি। ভলিবল, ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। অপরদিকে ক্যারাম, তাস, দাবা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বহু মানুষ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বলে আশাবাদী মেলা কমিটির সদস্যরা। আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 


    মেলা কমিটির সহ সভাপতি অশোক সরকার ও বিশেষ সদস্য রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় বলেন, খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেলায় আসা মানুষদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকেও বিশেষ নজর দেয় মেলা কমিটি। 


    মেলা কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, এবছর রেকর্ড পরিমাণে স্টল বসছে। সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন খাবারের স্টলও থাকছে। সূচনালগ্নে ছোট আকারে মেলা বসত। বর্তমানে মেলার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। মেলা কমিটির সদস্যের সংখ্যাও আগের তুলনায় বেড়েছে। আমাদের মূলমন্ত্র একতা।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)