• বইয়ের সঙ্গে নজর কাড়ছে  জঙ্গলমহলের নলেন গুড়ও
    বর্তমান | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ব্যাগ ভর্তি বই। সেইসঙ্গে হাতে ধরা ছোট্ট কাচের জার। ভিতরে রয়েছে নলেন গুড়! বহু পাঠকই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন সেই গুড়ের জার! কারণ, এই প্রথমবার কলকাতায় বইমেলায় খাঁটি জঙ্গলমহলের নলেন গুড় নিয়ে এসেছে রাজ্যের বনদপ্তর। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এই নলেন গুড়। ২৫০ গ্রাম জারের দাম ১৩০ টাকা। নামও দেওয়া হয়েছে ‘জঙ্গলমহলের নলেন গুড়’। বনদপ্তরের উদ্যোগে তা ঝাড়গ্রামে তৈরি করা হয়েছে । ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পরই সেই নলেন গুড় বাজারজাত করা হয়েছে। তাই ক্রেতাও প্রচুর। খাঁটি গুড়ের জন্যই চাহিদা বাড়ছে। 


    পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের ভাইস চেয়ারপার্সন মারিয়া ফার্নান্ডেজ বলেন, ‘ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রচুর নলেন গুড় তৈরি হয়। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রামে একটি প্রজেক্ট করব। সেখানে আমরাই জমি ঠিক করে দিয়েছিলাম। সেখানে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে ওই নলেন গুড় তৈরি করা হয়েছে। তারপর ল্যাবে টেস্ট হয়েছে। সমস্ত বিধি পাশ করার পর তা বিক্রি করা হচ্ছে। বইমেলায় আমাদের স্টল থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে। যেহেতু এটা জঙ্গলমহলের প্রোডাক্ট। তাই জঙ্গলমহলের নামই দেওয়া হয়েছে’।


    বৃহস্পতিবার ছিল বইমেলার তৃতীয় দিন। বিকেল থেকেই জমে উঠেছিল ভিড়। সন্ধ্যা নামতেই তা কয়েকগুণ ছাপিয়ে যায়। পাঠকদের সঙ্গে বইমেলায় হেঁটে ঘুরেছেন একঝাঁক নামী কবি, সাহিত্যিক, অভিনেতা-অভিনেত্রী। পাঠকদের আবদার মেটাতে দাঁড়িয়ে সেলফিও তুলেছেন। বইমেলার ভিতর যাতায়াতের জন্য রয়েছে রিং রোড। তারই ধারে প্রতিবার বসতেন চিত্রশিল্পীরা। কেউ পোর্ট্রেট আঁকতেন। কেউ আবার আঁকা ছবি বিক্রি করতেন। কিন্তু, এবার রিং রোডের ধারে তাঁদের বসতে না দেওয়ায় এদিন তাঁরা গিল্ড অফিসের সামনে মৌন প্রতিবাদ করেন। যদিও গিল্ড ও প্রশাসনের দাবি, জরুরি পরিস্থিতিতে দমকল সহ গাড়ি যাতায়াতের জন্য ওই রিং রোড। তাই ওই জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)