পুলিসি প্রহরায় সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
বর্তমান | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পুলিসি প্রহরায় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজে সরস্বতী পুজো সম্পন্ন করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলেজে পুজোকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তার জল গড়িয়েছিল হাইকোর্টে। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার কোনও আধিকারিকের নজরদারিতে পুজো সম্পন্ন করতে হবে। কোন আধিকারিক দায়িত্ব পাবেন, তা স্থির করবেন কলকাতার পুলিস কমিশনার।
এদিন বিচারপতি নির্দেশে আরও জানিয়েছেন, পুজো কোন জায়গায় হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন যোগেশচন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষরা। নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন থাকবে পুলিস। গোটা পুজো-পর্ব ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে নতুন করে অবনতি না হয়, তা নিশ্চিত করবে পুলিস। পুজো এবং বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যায় সশস্ত্র পুলিস কর্মী মোতায়েন রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। ৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, তারা কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে অপারগ। দুই কলেজের অধ্যক্ষরই বক্তব্য, পরিস্থিতি তাঁদের হাতের বাইরে। সেই কারণে তাঁরা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই বহিরাগত নিয়ন্ত্রণেও পুলিসকে পদক্ষেপ করতে বলেছে আদালত।
ঘটনা হল, প্রতি বছর দু’টি কলেজের পড়ুয়ারা আলাদা আলাদা জায়গায় পুজো করে আসছে। এ বছর পুরনো ভবন থেকে নতুন ভবনে যাওয়ার রাস্তায় এমনভাবে একটি প্যান্ডেল তৈরি হয়েছে, তাতে সমস্যা দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, ল কলেজের পড়ুয়ারা তাঁদের ক্লাসে যেতে পারছেন না ওই প্যান্ডেলের জন্য। এই সমস্যার কারণেই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। এদিকে, সরস্বতী পুজোর ফান্ড আটকে রাখার অভিযোগ আসায় চিত্তরঞ্জন কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিবেক গুপ্তাকে। সেই পদে এসেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।