শুক্রবার রাত থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিলের ঘোষণা আগেই করেছিল রেল। তার জেরে শনিবার সকাল থেকে ভোগান্তি শুরু যাত্রীদের। বালিগঞ্জ ও কাঁকুড়গাছি স্টেশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ১০৮টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে। যাত্রীদের একটাই বক্তব্য, আগামী কাল রবিবার ছুটি, সোমবারও সরস্বতী পুজোর জন্য রাজ্যের ছুটি রয়েছে। এই দু’দিন কাজ করা যেত। তা হলে যাত্রীদের ভোগান্তি হতো না। কাজের সময় পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল।
এই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্তে সব থেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে বারুইপুর লাইনের যাত্রীদের। কারণ সব থেকে বেশি ট্রেন বাতিল এই লাইনেই। ২২টি বারুইপুর লোকাল বাতিল করা হয়েছে। সে তুলনায় ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, লক্ষীকান্তপুর লাইনে বাতিল ট্রেনের সংখ্যা অনেক কম।
শনিবার বারুইপুর স্টেশনে ডায়মন্ড হারবার লোকাল ঢুকতেই উপচে পড়ে যাত্রীদের ভিড়। ট্রেনে ওঠার জন্য এমন ঠেলাঠেলি শুরু হয়, প্ল্যাটফর্মে পড়ে যাওয়ার অবস্থা। অনেক যাত্রী উঠতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের বক্তব্য, প্রায়ই বিভিন্ন লাইনে লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়। বলা হয়, আরও ভালো পরিষেবা দিতেই সাময়িক ভোগান্তি। যাত্রীদের প্রশ্ন, তার পরও তো রোজই ট্রেন লেট, বাতিল লেগে থাকে। অন্য শাখার যাত্রীদের অভিজ্ঞতা অন্তত এমন
অমিত দাস সাত সকালে ট্রেন ধরবেন বলে হাজির হয়েছিলেন বারুইপুর স্টেশনে। ট্রেন যে বন্ধ, তা তিনি জানতেন না। এসে দেখেন একটিও লোকাল নেই। তিনি বলেন, ‘রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্যই যদি ট্রেন বাতিল করা হল, তা তো রবিবার থেকে করতে পারত। পর দিন সরস্বতী পুজো, সে দিনও ছুটি। সে সময়ে করতে পারত। আমি নিত্যযাত্রী নই। কিন্তু যাঁরা নিত্যযাত্রী, সময়মতো অফিসে পৌঁছতে হয়, তাঁদের কী ভোগান্তি বুঝতেই পারছি।’
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগর-লালগোলা সেকশনে রেলের জরুরি নির্মাণ কাজের জন্য রবিবার আটটি ট্রেন বাতিল থাকবে। রেজিনগর ও বেলডাঙা স্টেশনের মাঝে ‘লিমিটেড হাইট সাবওয়ে’ (এলএইচএস) তৈরি হবে। সে জন্য ওইদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হবে। যার জেরে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটবে। আপ ও ডাউনে বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল সঙ্গে একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। প্রতিবারই সুষ্ঠু পরিষেবার কথা বলে রেল। কিন্তু দুর্ভোগ পিছু ছাড়ে না।