বেশ কয়েকদিন নিখোঁজ থাকার পরে শনিবার জলাশয় থেকে উদ্ধার হলো কিশোরের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে রায়দিঘি থানার ২৩ নম্বর লাট এলাকায়। মৃতের নাম ধনঞ্জয় দত্ত (১০)৷ তার পরিবারের দাবি, তাকে খুন করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধনঞ্জয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ধনঞ্জয়। বাড়ির কাছেই খেলছিল সে। এরপর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। সন্ধান চেয়ে এলাকায় পোস্টারও দেওয়া হয়। তারপরেও ধনঞ্জয়ের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
শনিবার সকালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রামের মাঠের পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন লএলাকার লোকজন। খবর দেওয়ার হয় ওই শিশুর পরিবারকেও। ঘটনাস্থলে গিয়ে ধনঞ্জয়ের দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা।
খবর দেওয়া হয় রায়দিঘি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী ভাবে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে এলো ওই শিশুটি? কী ভাবেই তার মৃত্যু হলো? তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। পরিবার সূত্রে খবর, ধনঞ্জয় সাঁতার জানত। এ ছাড়াও যে দিন সে নিখোঁজ হয়েছিল সেই দিন এলাকার পুকুরগুলিতেও খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু তখন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরিবার দাবি, কেউ খুন করে ধনঞ্জয়কে জলাশয়ে ফেলে দেয়। তবে কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রায়দিঘি থানার পুলিশ জানাচ্ছে, এই ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধনঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কি না, তাও দেখা হচ্ছে।