• রাস্তায় ঘুরছে বাঘ? জেনারেটরের আলো জ্বালিয়ে ফের রাত জাগল মৈপীঠ
    এই সময় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • শুধু বনে নয়, এ বার পথেঘাটেই ঘনঘন বাঘের দেখা মিলছে। কিছুদিন আগেই মৈপীঠের দেবীপুরে এক মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল বাঘ। এ বার একই অভিজ্ঞতা মৈপীঠের বাসিন্দা অনুপম গিরির। শুক্রবার রাতে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময়ে তিনি রাস্তায় আচমকা বাঘ দেখতে পান। আতঙ্কে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। সেই চিৎকার শুনে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। গ্রামবাসীরা সেখানে পৌঁছতেই পালিয়ে যায় বাঘটি। আতঙ্কে জ্ঞান হারান অনুপম। শুক্রবারের ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। তাঁদের কথায়, ঘনঘন এমন ঘটনা ঘটছে। ফলে সাধারণ মানুষকে সন্ধ্যা নামলেই বাড়িতে ঢুকে পড়তে হচ্ছে।

    অনুপম জানান, শুক্রবার রাতে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছেও গিয়েছিলেন। সেই সময়ে অন্ধকারে দুটি চোখ জ্বলজ্বল করতে দেখতে পান তিনি। ডোরাকাটা দাগ গায়ে দেখে বাকিটা আর বুঝতে বাকি ছিল না তাঁর। চিৎকার করে ওঠেন তিনি। কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান হারান।

    তাঁকে রাতেই কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় মৈপীঠ কোস্টাল থানায় ও বনদপ্তরকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বন দপ্তরের কর্মীরা। রাতে গ্রামের জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে রাখেন গ্রামের বাসিন্দারা। ওই এলাকায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা থাকায় জেনারেটরও ভাড়া করে আনা হয় আলো জ্বালাতে। সারারাত গ্রাম পাহারা দেন বনকর্মীরা।

    শনিবার সকালেও বাঘটি গ্রামের আশেপাশে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বনকর্মীরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাঘটি মাকড়ি নদী পেরিয়ে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে এসেছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন ঘনঘন লোকালয়ে চলে আসছে বাঘ? তবে কি জঙ্গলে খাবার মিলছে না? এই বিষয়ে এখনও বন দপ্তরের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

  • Link to this news (এই সময়)