• ‘দিদিকে বলো’–তে ফোন করে আবাসের বাড়ি পেলেন ৭৩ পরিবার
    এই সময় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, শ্যামপুর: ‘দিদিকে বলো’–তে ফোন করে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি পেলেন তপন গড়াই, আজমিরা খাতুন, শেখ মুশারফ। শুধু আজমির বা মুশারফই নন, এক ফোনেই মাথার উপর পাকা ছাদ পেয়েছেন হাওড়া গ্রামীণের শ্যামপুর–২ নম্বর ব্লকের ৭৩টি পরিবার।‌ প্রথম পর্বের আবাস তালিকায় নাম থাকায় হতাশ হয়েছিলেন তপন, আজমিরারা।‌

    তাঁদের পরিত্রাণের উপায় বাতলে দিয়েছিলেন শ্যামপুর–২ নম্বর ব্লকের ডিহিমণ্ডলঘাটের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উপ–প্রধান।‌ তাঁর পরামর্শ মতো এই ৭৩টি পরিবার ফোন করেন ‘দিদিকে বলো’–তে দেওয়া হেল্প লাইন নম্বরে।‌

    হাওড়া গ্রামীণের রূপনারায়ণ নদীর তীরবর্তী এলাকা এই ডিহিমণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত।‌ এখানে অর্থনীতি দাঁড়িয়ে ইট শিল্পের উপর। বহু মানুষ ইটভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।‌ নদীকেন্দ্রিক হওয়ার কারণে বহু মানুষ নদীর উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর্থ–সামাজিক ভাবে অনেকই পিছিয়ে থাকা এই এলাকার বহু বাসিন্দার মাথার উপর পাকা ছাদের বাড়ি নেই।

    বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন অনেকে। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সেই আবেদনপত্র অনুযায়ী প্রাথমিক সমীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু আবাস যোজনার উপভোক্তাদের নামের তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বহু যোগ্য আবেদনকারীর নাম নেই তালিকায়। আবাস যোজনা তালিকায় নাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন আজমিরা খাতুন, রুকসানা বিবি-রা। এরপর তাঁরা দারস্থ হন পঞ্চায়েতের।‌

    পঞ্চায়েতের উপ–প্রধান সুদীপ বেরার পরামর্শ মতো তাঁরা ‘দিদিকে বলো’ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। তাতেই কাজ হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের নির্দেশে সমীক্ষা করে ব্লক প্রশাসন। প্রাথমিক তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়া ৭৩টি ঘরের বাসিন্দা ঘর পান। ইতিমধ্যে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ব্যাঙ্কে ঢুকতে শুরু করেছে অনেকেরই।

    টাকা পেয়েই নির্মাণ কাজ শুরু করে দিয়েছেন আজমিরা, তপনরা। ডিহিমণ্ডলঘাটের এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়দাবাড় গ্রামের বাসিন্দা তপন গড়াই ও আজমিরা খাতুন বলেন, ‘এতদিন ঘরের মাথায় টালি ও ত্রিপলের ছাউনি লাগিয়ে দিন কাটিয়েছি। প্রথমে আবাস তালিকায় নাম না থাকায় হতাশ‌ হয়েছিলাম।‌ দিদিই আমাদের মুশকিল আসান করে দিয়েছেন। দিদিকে অনেক ধন্যবাদ।’

    এলাকার বাসিন্দা শেখ ফিরোজের মন্তব্য, ‘আবাস যোজনার পাকা ঘরের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি।‌ শেষমেশ ‘দিদিকে বলো’–তে ফোন করে ঘর পেয়েছি।’

    ডিহিমণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ–প্রধান সুদীপ বেরা বলেন, ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী সকলের কথা ভাবেন, তা আবারও প্রমাণিত হলো। ৭৩টি পরিবার আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে। তেমনই এই পঞ্চায়েতে ৩২১টি পরিবার পাকা বাড়ি পাচ্ছে।’

  • Link to this news (এই সময়)