মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করতে যাওয়ার জন্য জেদ করেছিলেন বাঁকুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বছর ৬২-র সাধন মালাকার। পরিবারের নিষেধ না শুনেই তিনি গত রবিবার কয়েকজনের বন্ধুর সঙ্গে গিয়েছিলেন কুম্ভে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ওই প্রবীণ। বাঁকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মালাকার পরিবার। পুলিশের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবেও সাধনবাবুর খোঁজ শুরু করেছেন তাঁরা। পরিবারের ৬ জন ইতিমধ্যেই কুম্ভের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
সাধন মালাকারের স্ত্রী প্রতিমা মালাকার জানান, স্বামীর শরীর ভালো নয়। পরিবারের সকলেই তাঁকে বলেছিলেন কুম্ভে না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি কথা শোনেননি। তাঁর কথায়, ‘ওঁর হাত কাঁপে। মোবাইল ব্যবহারেও সড়গড় ননয়। উনি কোথায় রয়েছেন, তা জানতেও পারছি না।’
সাধন মালাকারের বউমা বলেন, ‘আমরা একাধিকবার বাবার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। সকলেই খুব উদ্বেগে রয়েছি। এখন শুধু চাই ঘরের মানুষ ঘরে ফিরে আসুক।’ কথা বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে ওঠেন তিনি।
গত মঙ্গলবার প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে একাধিক পুণ্যার্থীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। এ ছাড়াও কুম্ভে আগুন লাগা থেকে শুরু করে প্রবল ভিড়ে শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর মতো ঘটনাও সংবাদমাধ্যম মারফত জেনেছে মালকার পরিবার। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের লোকজনের উদ্বেগ বেড়েছে।
পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান,মহাকুম্ভ স্নানে যাওয়ার জন্য রীতিমতো গোঁ ধরে বলেছিলেন সাধন। তাঁরা একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি শোনেননি।