তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার শিশুর দেহ, চাঞ্চল্য রায়দিঘিতে
আজকাল | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির কিছুটা দূরে পুকুর থেকে উদ্ধার হল ৯ বছরের শিশুর দেহ। এই ঘটনায় শনিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় সুন্দরবনের রায়দিঘি থানা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রায়দিঘি থানার রায়দিঘি পঞ্চায়েতের ২৩ নম্বর লাট এলাকায়। মৃত শিশুর নাম ধনঞ্জয় দত্ত (৯)৷ মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, তাদের বাচ্চাকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল ধনঞ্জয়। বাড়ির কাছেই খেলছিল সে। এরপর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। গত ৩০ জানুয়ারি রায়দিঘি থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়।
শনিবার সকালে গ্রামের পাশের পুকুরে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন এলাকার মানুষ জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধনঞ্জয়ের দেহ শনাক্ত করেন পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়দিঘি থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দেহ উদ্ধারের পর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। কীভাবে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে এলো ওই শিশু? কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল? এদিকে, মৃতের পরিবারের দাবি ধনঞ্জয় সাঁতার জানত। নিখোঁজ হওয়ার দিন ওই পুকুরে খোঁজাখুঁজি করেও ধনঞ্জয়ের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়দিঘি থানার পুলিশ। খুনের বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।