সংবাদদাতা,বালুরঘাট: প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় চলছে পুণ্যস্নান। সেখানে যাবেন বলে স্ত্রী ও ছেলেকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে বন্ধুদের নিয়ে কুম্ভমেলায় গিয়েছিলেন এক শিক্ষক। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সেখান থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। দেখেন বাড়ি পুরো লণ্ডভণ্ড। ঘরের দেওয়ালের দিকে তাকাতেই দেখা যায় ৪২ ইঞ্চির টিভিটা নেই! এরপরই সবটা পরিস্কার হয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছে চোরের দল। জিনিসপত্র যা নেওয়ার তা তো নিয়ে গিয়েছেই। উপরন্তু ফ্রিজ খুলে যাবতীয় খাবারও খেয়েছে। এমনকী বাদ রাখেনি ঠাকুর ঘরে থাকা প্রসাদও। আর চোরের এই কাণ্ড দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ বাড়ির মালিকের। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের বড় রঘুনাথপুর এলাকা। এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের বড় রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সত্যম দত্ত গত ২৬ জানুয়ারি কুম্ভমেলার যান। পেশায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষক। মেলায় যাওয়ার আগে মাহিনগরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী ও ছেলেকে রেখে বাড়ি তালাবন্ধ করে প্রয়াগরাজে চলে যান। এরপর গত ৩১ তারিখ দুপুরবেলা শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে বাড়ি আসেন। বাড়ি ঢুকতেই চোখ কপালে ওঠে তাঁর। পুরো বাড়ির জিনিসপত্র এলোমেলো। চোরের দল টিভি, প্রিন্টার মেশিন নিয়ে চম্পট দিয়েছে। পাশাপাশি ঘরে থাকা কয়েক হাজার টাকাও নিয়ে গিয়েছে তারা। কিন্তু শুধু লুটতরাজেই থেমে থাকেনি চোরের দল। ঠাকুর ঘরে ঢুকে গোপালের সোনার গয়নাও চুরি করেছে। এমনকী ঠাকুরের জন্য রাখা ছিল কিশমিশ ও কাজুর প্রসাদ। সেগুলি নিয়ে শোফায় বসে তারা খায়। এমনকী কোনওরকম শব্দ পেলেও প্রতিবেশীরা যাতে ঘরের বের হতে না পারেন তার জন্য চোরের দল প্রতিবেশীদের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। পাশাপাশি তাদের ছবি যাতে সিসিটিভিতে ধরা না পড়ে তার জন্য এক প্রতিবেশীর সিসিটিভিও অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে তারা। পুলিস জানিয়েছে, বাড়ির ছাদের গেটের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেছে চোরের দল। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। অপরদিকে, বাড়ির মালিক সত্যম দত্ত বলেন, এইভাবে সমস্ত সামগ্রী নিয়ে চলে যাবে আমরা ভাবতেও পারছি না। লক্ষাধিক টাকার সামগ্রী খোয়া গিয়েছে। আমরা আতঙ্কিত। যে বা যারা অই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিস তাদের দ্রুত খুঁজে বের করে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।