• ফের কুলতলিতে বাঘের হানা, আতঙ্কে অসুস্থ মৈপীঠের বাসিন্দা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • দক্ষিণ ২৪ পরগনা মৈপীঠ এলাকায় ফের বাঘের আতঙ্ক। শুক্রবার রাতে মৈপীঠের বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় এক যুবক রাস্তায় একটি বাঘ দেখতে পান। তাঁর এই দাবি ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। প্রচুর লোক বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে আসেন। বাঘের আতঙ্কে অনুপম গিরি নামে এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে খবর। শুক্রবার রাতেই তাঁকে কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৈপীঠ কোস্টাল থানা এবং বন দপ্তরে খবর দেওয়া হয়।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈকন্ঠপুরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। রাতে জঙ্গলে বাঘের হুঙ্কার শোনা যায় বলে দাবি তাঁদের। কুলতলি বনদপ্তরের কর্মীরা রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। রাতের মধ্যেই লোকালয়ের দিকে পুরো এলাকা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। নজরদারি চালানো হচ্ছে আশপাশের এলাকায়। শুক্রবার সারা রাত লোকালয়ে পাহারা দিয়েছেন বনকর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, আজমরমারির গভীর জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে মাকড়ি নদী পেরিয়ে লোকালয়ে চলে এসেছিল।

    এদিকে গত কয়েক বছরে সুন্দরবনের মৈপীঠ, বৈকুন্ঠপুর পঞ্চায়েত এবং গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েত এলাকায় বাঘের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোহনপুর থেকে কুলতলির দেউলবাড়ির দেবীপুর পর্যন্ত এলাকায় জঙ্গলে ১০০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বন দপ্তর।

    এর পাশাপাশি জঙ্গলের বাঘকে জঙ্গলে রাখার জন্য এ বার বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে বন দপ্তর। বন দপ্তর সূত্রে খবর, বাঘের প্রবেশ আটকাতে যে নাইলনের ফেন্সিং লাগানো রয়েছে, সেই ফেন্সিংয়ের ৫ ফুট উপরে লাল, নীল ও সবুজ রঙের আলো বসানো হবে। সেই আলো এমন ভাবে বসানো হবে, যাতে জঙ্গলের বাঘ সেই ফেন্সিংয়ের কাছে এলেই তার নজরে পড়বে এবং ভয় পেয়ে জঙ্গলে ঢুকে যাবে।

    এ বছরের ৬ জানুয়ারি প্রথমবার বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির মৈপীঠ এলাকায়। তারপর একাধিকবার ওই এলাকায় বাঘের ছাপ মিলেছে। এর ফলে খুবই আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)