• একে বীজবপনে দেরি, তায় ঘন কুয়াশার পরত, এর পর রোগ হলে কী হবে? মাথায় হাত আলুচাষিদের...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অরূপ লাহা: যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা! জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকেই পারদ ঊর্ধমুখী, আর ফেব্রুয়ারির মুখে শীত কার্যত উধাও। একদিকে যখন পারদ ঊর্ধমুখী, ঠিক তখনই লাগাতার কুয়াশার দাপট রাজ্য জুড়ে। এতেই মাথায় হাত শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমানের আলু চাষিদের।

    কেন? সময়ের আগেই শীতের প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় নাবি ধসার শঙ্কা আলুতে। এর জেরে ঘুম উড়েছে পূর্ব বর্ধমানের কৃষকদের।  বর্ধমান জেলার জামালপুর, রায়না,আউশগ্রাম, কালনা,গলসি ব্লকে আলুচাষের জমির পরিমাণই বেশি। 

    জামালপুরের বাসিন্দা কৃষক উমাপদ দাস বলেন, এমনিতেই এ বছর অসময়ে বৃষ্টির জন্য আলু চাষ এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে। তার উপর এখন শীত কার্যত নেই। আর প্রতিদিন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে গ্রাম-শহর। ফলে আলুর ধসা রোগের আশঙ্কা হচ্ছে। তা আটকাতে জমিতে প্রায় প্রতিদিনই কীটনাশক স্প্রে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে চললে আলু জমিতে ধসা আটকানো যাবে না।

    আর এক আলুচাষি কামরুল মির্জা বলেন, শীত কমে যাওয়ায় আলু গাছের সতেজতা কমে যাচ্ছে। আলু গাছ তাড়াতাড়ি মরে গেলে ফলন এমনিতেই কমে যাবে। এ বছর চড়া দামে আলু বীজ কিনতে হয়েছে চাষিদের। এক বিঘে জমিতে আলু চাষ করতে গড়ে খরচ হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এখন আলুর ফলন কম হলে লাভ তো দূরের কথা, আসল খরচ কী করে উঠবে, তা নিয়েই চিন্তিত থাকেন আলুচাষিরা।

    দেরি করে জমিতে আলুবীজ বপনের জন্য এবার এমনিতেই ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন সমস্ত আলুচাষিই। কৃষকেরা সমবেত ভাবেই বলছেন, ফলন কম, এর উপর টানা ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে জমি। এই পরিস্থিতিতে জমিতে ধসা লাগলে তখন কীটনাশক স্প্রে করেও আর তা আটকানো যাবে না। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)