• ক্লাসে অধ্যাপিকা-ছাত্র 'বিয়ে', সিঁদুরদান নাটক নয়! কী আছে MAKAUT তদন্ত রিপোর্টে?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ক্লাসরুমে অধ্য়াপিকাকে সিঁদুর পরাচ্ছেন ছাত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল একটি ক্লিপ। তারপরই শোরগোল। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ফলিত মনস্তত্ত্ব বিভাগের এই ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন মহলকে। 

    এরপর ভিডিয়ো বার্তা। সেই সোশ্য়াল মিডিয়াতেই মুখ খুলেছিলেন ওই অধ্য়াপিকা। ওই ভিডিয়ো নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন এটা আসলে সাইকো ড্রামার অংশ। 

    তবে বিশ্ববিদ্যালয় গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল। সেখানে কী বলা হয়েছে?

    একাধিক প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে এই ঘটনা এক ধরনের ক্রুড ফান। অর্থাৎ নিম্নমানের মজা বা নোংরামি বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টে। 

    উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে একটা রিপোর্ট আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে বিয়ের চুক্তিপত্রের ধাঁচে একটা লেখা হয়েছিল। সেখানে অধ্য়াপিকা  ও ছাত্রের নাম লেখা হয়েছিল বলে খবর। এদিকে ভাইরাল ভিডিয়োতেও ওই অধ্য়াপিকাকে রেজিস্টারটি চাইতে দেখা গিয়েছিল। এমনকী পরীক্ষার সময় কেন এই ধরনের ঘটনা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

    উপাচার্য জানিয়েছেন, এই ঘটনাও আপত্তিকর। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন একটা ক্লাসে কেন এমন করা হল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে যে ছাত্রের সঙ্গে ঘটনাটি হয়েছে সেই ছাত্রের বাকি পরীক্ষাগুলি যাতে ঠিকঠাক হয় সেই বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। ছাত্রটির পাশে আমরা সকলেই আছি ।

    এদিকে সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়। এই রিপোর্ট সামনে আসার পরেই ওই অধ্য়াপিকার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হতে পারে। এর জেরে শাস্তি হতে পারে ওই অধ্য়াপিকার। 

    টিভি ৯ বাংলার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির সদস্যরা অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন এটা কোনও ড্রামা নয়, এটা যে কারিকুলামের পাঠ তেমনটাও নয়। এটা নিছক একটা তামাশার জিনিস। সেটাই করেছেন উনি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, অধ্য়াপিকার বক্তব্য আগামাী সপ্তাহে নেওয়া হবে। পরীক্ষার সময় কেন এই ধরনের তামাশা করেছিলেন অধ্য়াপিকা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

    'একটা ড্রামা ক্লিপ। অরিজিনাল নয়। পার্ট অফ ড্রামা ক্লিপ। যেটা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নাচ গানের ক্লিপ ভাইরাল না হয়ে সাইকো ড্রামা থেকে একটা কিছু কিছু ক্লিপস ভাইরাল করা হল। আমার সাথে আরও কিছু স্টুডেন্টসদের কথা ভাবা হচ্ছে না। তাদের একটা কেরিয়ার আছে। আমার কেরিয়ার তো চলো..অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। কাজ করছি চাকরি করছি। ঠিক আছে আমার কেরিয়ার আমার ব্যাকগ্রাউন্ড যারা আমায় চেনে জানে.. পুরো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড। স্টাডিজ, রিসার্চ, পাবলিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড। আমি এনিয়েই থাকি। আমি মোটিভেশন করি। রিসার্চ করো, বুক চ্যাপটার করো। স্টুডেন্টদের সঙ্গে রিসার্চ করাচ্ছি। আন্তর্জাতিক কনভেনশনে নিয়ে যাচ্ছি। বলেছিলেন অধ্য়াপিকা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)