• মা ক্যান্টিনের খাবার দেওয়ার সময়ে কি বদল আসছে?‌ সবটা জানিয়ে দিলেন মেয়র
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে গরম টের পাচ্ছেন বঙ্গবাসী। আর এটা যে মার্চ–এপ্রিল মাসে আরও বাড়বে তা সকলেই বুঝতে পারছেন। আর এই গরম বাড়লে পচে যেতে পারে মা ক্যান্টিনের ভাত। এমনই আশঙ্কা করে কলকাতার নানা জায়গায় চলা মা ক্যান্টিনের স্টল থেকে দুপুরের পরিবর্তে বিকেলে খাবার দেওয়ার প্রস্তাব জানানো হয় মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। টক–টু–মেয়র অনুষ্ঠানে মৌলালি থেকে পিনাকী গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে এই প্রস্তাব দেন। মেয়র গোটা প্রস্তাব এবং কারণ শুনে জবাব দেন ওই ব্যক্তিকে।

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তাহলে কি মা ক্যান্টনের খাওয়ার দেওয়ার সময়ে বদল আসছে?‌ এই টক–টু–মেয়র নম্বরে শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নানা সমস্যার সমাধান এবং পরিষেবা পাওয়ার জন্য ফোন করে থাকেন। সেখানেই এবার ফোন করে এমন সময় বদলের প্রস্তাব দেন মৌলালির বাসিন্দা পিনাকী গুপ্ত। আর ফোন করে পিনাকীবাবু বলেন, ‘আমার কোনও সমস্যা নেই। কোনও সমস্যা জানাতে আমি ফোন করিনি। তবে মানুষের স্বার্থে এবং সরকারের সুবিধান জন্য দু’টি প্রস্তাব দিতে চাই।’ তখন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ফোনের অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তির প্রস্তাব জানতে চান।


    মেয়রের কাছ থেকে বলার সুযোগ পেতেই তুলে ধরেন প্রস্তাব। পিনাকী গুপ্ত মেয়রকে বলেন, ‘আমার প্রথম প্রস্তাব, গরমকাল আসছে। মার্চ–এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা অনেক বাড়বে। তাই দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মা ক্যান্টিনের স্টল থেকে ভাত দিলে তা পচে যাবে। বাংলার মানুষ খেতে পারবেন না। তাই দুপুরের বদলে যদি বিকেল ৪টে থেকে ভাত, ডাল, ডিম দেওয়া হয় তাহলে মানুষের উপকার হবে। খাবারও নষ্ট হবে না।’ শুনে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘‌লাঞ্চের অর্থ তো দুপুরের খাবার। সেই খাবার বিকেলে দিলে তো আর লাঞ্চ বলে কিছু থাকে না। তাই সময় বদলের এই প্রস্তাব কার্যকর করা যাবে না। বরং মানুষ খাবার নিয়ে যেতে পারবেন।’


    কলকাতায় বহু মানুষ কর্মসূত্রে বাইরে থেকে আসেন। অন্যান্য জেলা থেকে এসে কাজ করে দুপুরে অল্প পয়সায় খাবার খেতে চান। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মা ক্যান্টিন থেকে দুপুরের খাবার হিসেবে ভাত–ডাল, ডিমের ব্যবস্থা করেছেন মাত্র পাঁচ টাকায়। এখন আবার আলুর তরকারিও দেওয়া হয়। বাইরে থেকে আসা মানুষজন সস্তায় মধ্যাহ্নভোজ করতে পারেন। মেয়র পিনাকীবাবুকে সেটা বুঝিয়ে বলতেই তিনি বিষয়টি মেনে নেন। তারপরই পিনাকীবাবু তাঁর দ্বিতীয় প্রস্তাব রাখেন মেয়রের কাছে। পিনাকীবাবুর কথায়, ‘‌আলুর তরকারির বদলে মরশুমি সবজির তরকারি দিলে ভাল হয়। যদি তাতে অসুবিধা থাকে তাহলে তরকারি না দিয়ে সবজি ডালে মিশিয়ে দিলেও উপকার হয়।’‌ মেয়র তা শুনে পিনাকী গুপ্তকে জানান, তাঁর দ্বিতীয় প্রস্তাবের কথা বিবেচনা করে দেখবেন। আর রাজ্য সরকারকেও জানাবেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)