• দুই 'লক্ষ্মী'র হাতেই প্রাণ পান দেবী সরস্বতী! তাঁরা কাজে হাত দিলেই এলাকায় নামে বসন্ত পঞ্চমীর আমেজ...
    ২৪ ঘন্টা | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ভবানন্দ সিংহ: উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের দুর্গাপুর গ্রামে হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা পলাশ বর্মন। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বরাবরই আর্থিক অনটন তাঁর সংসারে। তবে ছোট থেকেই বাবার হাতের কাজ শিখেছেন পলাশের দুই মেয়ে শিলা ও শিল্পা বর্মন। লেখাপড়ার প্রতিও যথেষ্ট আগ্রহ তাঁদের। আর তারই সঙ্গে সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতেই যেন বেশি ঝোঁক তাঁদের।

    উচ্চ মাধ্যমিক পাশ বড় বোন শিলা বর্মনের বিয়ে হয়েছে পাশের গ্রামেই। কিন্তু নেশার টানে প্রতিবারই সরস্বতীর চক্ষুদান করতে তিনি ছুটে আসেন বাপের বাড়িতে। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। এদিকে ছোট বোন শিল্পা স্নাতকোত্তীর্ণ হয়েও এখনও বাবার সঙ্গে সরস্বতীপ্রতিমা তৈরির সঙ্গী।

    সরস্বতী পুজোর আগের দিন শনিবার দুর্গাপুরে পলাশবাবুর বাড়িতে দেখা গেল চরম ব্যস্ততা। বড় মেয়ে প্রতিমার চক্ষুদানে ব্যস্ত, আর ছোট মেয়ে প্রতিমার অন্যান্য সাজসজ্জার শেষ মুহুর্তের খুঁটিনাটি সামলে যাচ্ছেন। দুই মেয়েই তাঁর লক্ষ্মী, আর ওঁদের হাতের প্রতিমার চাহিদাও যথেষ্ট, ওঁদের প্রচেষ্টায় অভাবের সংসারে হাল ফিরেছে-- এমনই দাবি বাবা পলাশ বর্মনের।


     


    আর দুই মেয়ে কী বলছেন? তাঁরা জানান, ছোট থেকে বাবার কাছেই কাজ শেখা তাঁদের। এরপর পেশাকে নেশা করেই ক্রমশ এগিয়ে যাওয়া। পুরোটাই আন্তরিকতার সঙ্গে শেখা, সঙ্গে সরস্বতীর প্রতি শ্রদ্ধাও কাজ করে। মেয়েরাও বলেন, তাঁরা তাঁদের বাবার যথেষ্ট আদরের।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)