• জাল শংসাপত্র! CRPF ও CAPF নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার এক
    প্রতিদিন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: আধাসেনায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে বাংলা থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট তৈরি করে ভিন রাজ্যের যুবকদের চাকরি পাইয়ে দিতে এ রাজ্যে তৈরি হয়েছিল এক বিরাট দুর্নীতি চক্র। এই চক্রের অন্যতম মাথা ছিল মহেশ কুমার চৌধুরী। উত্তর ২৪ পরগনার কাকিনাড়ার বাসিন্দা এই যুবককে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে সিবিআই। শনিবার অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

    ২০২১ সালে ও ২০২২ সালে সেন্ট্রাল স্টাফ সিলেকশন কমিশনের মাধ্যমে সিআরপিএফ কনস্টেবল (CRPF) ও আর্মড ফোর্স (CAPF) নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুধুমাত্র এ রাজ্যের ক্ষেত্রে একুশ সালের ৩ হাজার ও ২০২২ সালে ৬ হাজার ৩৮০ শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হয়। এই নিয়োগেই বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন সুপ্রতীপ পাল ও রাহুল মাঝি। অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় আধাসেনায় বাংলার রাজ্য কোটায় বাংলার স্থায়ী বাসিন্দাদের বঞ্চিত করে জাল ডোমিসাইল ও জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি দখল করছিল বিহার ও ইউপির বহিরাগতরা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বাংলা পক্ষ ময়দানে নেমে লড়াই করে। বিভিন্ন জায়গায় জাল চাকরিপ্রার্থীদের ধরে পুলিশে দেওয়া হয়, FIR হয় এবং বিভিন্ন SDO অফিসে অভিযান করে বাংলা পক্ষ। হাই কোর্টে মামলাও করা হয়।

    এই মামলার প্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছিল। জাল শংসাপত্র তৈরি করে নিজেকে বাংলার বাসিন্দা হিসেবে দেখিয়ে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন বহু প্রার্থী। এই ঘটনায় এর আগেই একাধিক জনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই এবার এই চক্রের অন্যতম মাথা মহেশ কুমার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই।
  • Link to this news (প্রতিদিন)