মহাকুম্ভে নিখোঁজ প্রৌঢ়, বাবার ছবি নিয়ে প্রয়াগরাজ ঘুরছেন বাঁকুড়ার শান্তনু
প্রতিদিন | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: দীর্ঘ ছয়দিন হয়ে গিয়েছে বাবার খোঁজ পাচ্ছেন না ছেলে। পরিবারের সকলে প্রবল উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বাবাকে খুঁজতে বাঁকুড়া থেকে সুদূর প্রয়াগরাজ গেলেন ছেলে। নিখোঁজের ছবি বুকে লাগিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন লোকজন।
ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে মহাকুম্ভে নিখোঁজের তালিকা। এবার বাঁকুড়া শহরের এক প্রৌঢ় নিখোঁজ হয়ে গেলেন মহাকুম্ভে। পুণ্যস্নানের উদ্দেশ্যে এই প্রথম মেলায় গিয়েছিলেন বছর ৬২-এর পেশায় রাজমিস্ত্রি সাধন মালাকার। বাঁকুড়া শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালাকার পাড়ার ওই বাসিন্দার সাত দিন পরেও খোঁজ নেই। চরম উৎকণ্ঠায় দিন গুনছেন পরিবারের সদস্যরা। বাবাকে খুঁজতে বাধ্য হয়ে উত্তরপ্রদেশ গেলেন ছেলে শান্তনু মালাকার ও আরও সাতজন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী বন্ধুদের সঙ্গে বাসে করে গত ২৬ জানুয়ারি মহাকুম্ভ যাত্রায় বেরিয়ে ছিলেন সাধনবাবু। ধর্মকর্মে বিশ্বাসী সাধন আগেও বেনারস, কাশী, গয়ার মতো ধর্মীয় স্থানে গিয়েছিলেন। মহাকুম্ভের জন্য বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরিবার জানিয়েছে, গত রবিবার ওই ওয়ার্ড-সহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে রিজার্ভ বাসে কুম্ভ যাত্রা করেন সাধন। সোমবার দুপুর ২টোয় প্রয়াগরাজে পৌঁছনর আগে বাস থেকে নেমেছিলেন ওই প্রৌঢ়। তারপর থেকে আর তাঁকে পাওয়া যায়নি।
অন্যান্য সঙ্গীরাও একাধিক জায়গায় খোঁজখবর করেছিলেন। শেষে বাড়িতে ফোন করে সব জানানো হয়। সেই খবর পাওয়ার পর থেকেই উদ্বেগ ছড়ায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। বাবার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েই শুক্রবার কুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মেজো ছেলে শান্তনু। প্রয়াগরাজের জজ টাউনের হেল্পলাইনে ফোন করে ছবি ও নাম ঠিকানাও দেন। কিন্ত এখনও সেখান থেকে কোনও ফোন আসেননি।
অগত্যা শান্তনু ও তাঁর সঙ্গীরা নিখোঁজ ব্যক্তির ছবি গলায় ঝুলিয়ে কুম্ভমেলা তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। দুশ্চিন্তা বাড়ছে স্বাধীনবাবুর স্ত্রী প্রতিমা মালাকারের। পুণ্যস্নান সেরে সাধনবাবুর ফিরে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন প্রতিমা দেবী।