ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়ে ঘরে একাই ছিলেন। বার বার ডেকেও তাঁর সাড়া মিলছিল না। শেষে দরজা ভেঙে ঢুকে মেয়েকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন মা। তড়িঘড়ি ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।বৃহস্পতিবার রাতে কামারহাটির ঘটনা। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তরুণীর নাম আইভি প্রসাদ (২০)। তিনি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএসের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। আইভির বাবা বিদ্যাসাগর প্রসাদ একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিক। কর্মসূত্রে তিনি মুম্বইয়ে থাকেন। মা সুমিত্রা প্রসাদ কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসক। সুমিত্রার সঙ্গেই কামারহাটিতে ওই হাসপাতালের কোয়ার্টার্সে থাকতেন তরুণী। ঘটনার রাতে নিজের ঘরে ছিলেন আইভি। সুমিত্রা ভেবেছিলেন, মেয়ে পড়াশোনা করছে। বেশ কয়েক বার ডেকেও তিনি সাড়া পাননি। এর পরেই দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বার বার ধাক্কা দিয়েও না খোলায় সন্দেহ হয় সুমিত্রার। তিনি দরজা ভেঙে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন।
আইভিকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় ইএসআই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে জানান। কামারহাটি থানার পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য তরুণীর দেহ কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। শুক্রবার ময়না তদন্ত হয়েছে। আর জি কর সূত্রের খবর, চুপচাপ থাকতেন আইভি। তদন্তকারীদের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।