• ‘‌কাঁহি পে নিগাহে, কাঁহি পে ইশারা’‌, দেশের নয় বিহারের বাজেট বলে কটাক্ষ সেলিমের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • আজ, শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। কারণ এবারের বাজেটে নীতীশ কুমারের বিহারকে দু’‌হাত উপুড় করে উপঢৌকন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর ভর করে এনডিএ সরকার টিকে আছে। তার উপর বিহারে এই বছরেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই জোটশরিক জেডিইউ–কে খুশি রাখতেই দেদার প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ প্রথম করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার সেই একই পথে হেঁটে কেন্দ্রীয় বাজেটকে তুলোধনা করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

    এদিকে এই বাজেট ঘোষণা শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, আয়কর ছাড় থেকে শুরু করে ওষুধের শুল্কে ছাড়, বিমা থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধা থেকে নারীশক্তি, যুবসমাজ—সব ক্ষেত্রে এই বাজেট নজর রেখেছে। এই বাজেট একেবারেই আমজনতার। কিন্তু বিরোধীরা এই বাজেটের নেপথ্যে অন্য খেলা দেখতে পাচ্ছেন। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেসের পাশাপাশি সিপিএমও নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, সব রাজ্যের দিকে নজর দেওয়া হয়নি। বঞ্চিত করা হয়েছে বাংলা–সহ নানা রাজ্যকে। এটা দেশের বাজেট নয়। এটা আসলে বিহারের জন্য বাজেট বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।


    অন্যদিকে বিহারের জন্য একাধিক প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে মাখানা প্রকল্প নিয়ে বোর্ড–সহ নানা বরাদ্দ করা হয়েছে। এটা যে ভোটের দিকে তাকিয়েই করা হয়েছে সেটাই দাবি মহম্মদ সেলিমের। এই বিষয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‌বাজেটে স্বাস্থ্য–শিক্ষার দিকে কোনও নজর দেওয়া হয়নি। যেহেতু দিল্লিতে ও বিহারে নির্বাচন আছে তাই সেদিকে তাকিয়ে বাজেট করা হয়েছে। এটা ভারত সরকারের বাজেট নয়, বিহারের বাজেট। কাঁহি পে নিগাহে, কাঁহি পে ইশারা। আসলে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে দিল্লিতে ইশারা করা হল।’‌

    এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, ১৪০ কোটি ভারতীয় নাগরিকের কাছে এটা আশা আকাঙ্ক্ষার বাজেট ছিল। কিন্তু মহম্মদ সেলিম তা মানতে রাজি নন। তিনি সংসদীয় রাজনীতি ভালরকম বোঝেন। তাই এটা জনবিরোধী বাজেট বলেই মনে করেন তিনি। তাই মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘‌দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে কেন্দ্রের সরকার। সমদৃষ্টিতে সব রাজ্যকে দেখা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক সুযোগ–সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে একাধিক রাজ্যকে। সব রাজ্যের উন্নতিসাধনে অনীহা রয়েছে কেন্দ্রের। রেল নিয়ে আলাদা করে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। গত কয়েক মাসে এত রেল দুর্ঘটনার পরও যাত্রী নিরাপত্তায় নজর দেয়নি কেন্দ্র। উলটে একাধিক সেক্টরকে এভাবে বিদেশি শক্তির কাছে উন্মুক্ত করে দিলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)