• পড়ুয়াদের সম্প্রীতির পাঠ দিতে উদ্যোগী শিক্ষক, সরস্বতী পুজোয় এগিয়ে এল সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা
    বর্তমান | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: শিক্ষক হিসেবে পড়ুয়াদের পাঠদান করাই মূল লক্ষ্য। পাঠ্যক্রম অনুযায়ী শিক্ষাদানের পাশাপাশি এবার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পাঠ দিতে গিয়ে সিউড়ির এক শিক্ষক বিরাজুল ইসলাম অভিনব পদক্ষেপ নিলেন। স্বেচ্ছায় পুজো কমিটির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পুজোর আয়োজনে ব্রতী হয়েছেন তিনি। শিক্ষকের দেখানো পথে হেঁটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারাও পুজোর আয়োজনে শামিল হয়েছে। অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে মিলে তারাও আলপনা দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ ভাগ করে নিয়েছে। সিউড়ির করিধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড পাবলিক ইনস্টিটিউশনে এহেন সম্প্রীতির ছবি দেখা গেল। তবে শুধু এই একটি স্কুলই নয়, তিলপাড়া পঞ্চায়েতের অজয়পুর হাইস্কুলেও সম্প্রীতির এই ছবি ফুটে উঠেছে। সেখানেও একযোগে পড়ুয়াদের আলপনা দিতে দেখা গিয়েছে।


    এবছর দু’দিন পুজো চলবে। আজ রবিবার ও কাল সোমবার বিভিন্ন স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ পাড়ায় পাড়ায় বাগদেবীর আরাধনা চলবে। এই পরিস্থিতিতে ফল ও সব্জির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই শঙ্কায় ছিলেন। তবে এবছর ফল ও সব্জির দর স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি কেজি আপেল ১২০-১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কমলালেবুর দাম ৬০-৮০ টাকা। কেজি প্রতি কুলের দাম ৫০ টাকা। কলা ৪০-৫০ টাকা ডজন হিসেবে বিকোচ্ছে। প্রতি কেজি ৪০ টাকা হিসেবে শাঁকালু বিক্রি হচ্ছে। সব্জির দামও তলানিতেই রয়েছে। আলু প্রতি কেজি ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেগুন ২০ টাকা কেজি। ফুলকপি ১৫ টাকা এবং বাঁধাকপি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কেজি মটরশুঁটির দাম ৩০-৪০ টাকা। বাজারদর পকেট ফ্রেন্ডলি হওয়ায় স্কুলগুলিকে খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না। এবিষয়ে এক স্কুল শিক্ষক পার্থসারথি ঘোষ বলেন, প্রায় ৪৫০০ টাকার মধ্যেই ফল ও সব্জি কেনা সম্ভব হয়েছে। গত বছর দামের জন্য কিছুটা বেগ পেতে হয়েছিল। তবে এবছর দাম আয়ত্তের মধ্যেই। ফল বিক্রেতা পঙ্কজ সাঁও ও সব্জি বিক্রেতা পূর্ণচন্দ্র সাঁও বলেন, এবছর সব কিছু দাম স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করছি আমাদের ব্যবসাও ভালো হবে। 


    তিলপাড়ার অজয়পুর হাইস্কুলে এবছর ‘অরণ্যের অধিকার’ থিম তুলে ধরা হয়েছে। জীবন বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক দীনবন্ধু বিশ্বাস স্কুল চত্বরেই প্রতিমা গড়েছেন। 


    রবিলাল টুডুর পাশাপাশি ইন্না খাতুন, শেখ সোহেল সহ অন্যান্যরাও প্রতিমা গড়ার কাজে শিক্ষকের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল। সেইসঙ্গে স্কুল পুজো মণ্ডপের সামনে আদিবাসী সংস্কৃতিকে তুলে ধরে আলপনার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। উভয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা একজোট হয়ে সেই কাজ করেছে। একইভাবে যদুরায় মেমোরিয়ালেও ঋণিতা বিশ্বাস, অপর্ণা ভাণ্ডারীদের হাত মিলিয়ে জুমিনুর খাতুন আলপনা ফুটিয়ে তুলেছে। ওই স্কুলের শিক্ষক বিরাজুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছায় এই দায়িত্ব নিয়েছি। পুজোর আয়োজনে শামিল হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। পড়ুয়াদের সম্প্রীতির পাঠ দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)