সংবাদদাতা, কাঁথি: মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে নিখোঁজ কাঁথির বৃদ্ধের খোঁজ মিলল। কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানার ছোটবানতলিয়া গ্রামের ৭৫বছরের বৃদ্ধ পবন জানা পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের এক ব্যক্তির সহায়তায় শনিবার বাড়ি ফিরেছেন। গত ২৮জানুয়ারি মহাকুম্ভে স্নানের সময় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এগরা থানার ছত্রির বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির রজনীকান্ত পয়ড়্যার কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁর পরিবারের লোকজন উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
গত ২৬জানুয়ারি এক বন্ধুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন পবনবাবু। ২৮তারিখ তাঁদের সঙ্গে নদীতে স্নানের সময় কোনওভাবে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পবনবাবুর খোঁজ না মেলায় চার-পাঁচদিন ধরে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবার পবনবাবুর দুই ছেলেও প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নানের সময় বহু মানুষের ভিড়ের চাপে অনেকটাই দূরে সরে যান পবনবাবু। সঙ্গী কাউকেই দেখতে পাননি। তারপর একটি জায়গায় জড়োসড়ো হয়ে বসে কাঁপছিলেন। কেউ বাঙালি রয়েছেন কিনা খুঁজছিলেন, তাঁকে সাহায্যের জন্য বলবেন। সেখানে শক্তিগড়ের মন্টু সাঁতরা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ হয় পবনবাবুর। তিনিও মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন। মন্টুবাবু তাঁকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান। এরপর পুলিসের পরামর্শ মেনে তিনি নিখোঁজদের জন্য বিশেষ ক্যাম্পে নিয়ে যান। ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়ে মন্টুবাবু পবনবাবুকে নিজের দায়িত্বেই বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আসার পথে পবনবাবুকে নিজেদের উদ্যোগে খাওয়ান, এমনকী পোশাকও কিনে দেন। শনিবার পবনবাবুকে নিয়ে কাঁথির বাড়িতে আসেন মন্টুবাবু। তিনি বলেন, একাধিকবার পুণ্যস্নানে গিয়েছি। পবনবাবুকে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে পেরে এবার আমার আসল পুণ্য হল বলে মনে করি। গত ২৭জানুয়ারি ভোরে মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গে ওড়িশার জলেশ্বর থেকে ট্রেনে মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন রজনীকান্তবাবু। ২৯জানুয়ারি ভোরে মেয়ে ও জামাই সহ তাঁর পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে ৬নম্বর ঘাটে স্নান করতে নামেন। স্নান শেষে নদী থেকে উঠে আসার সময় মেয়ে ও জামাইয়ের থেকে আলাদা হয়ে যান তিনি।