• একসঙ্গে সরস্বতী পুজোর আলপনা আঁকল আলমিনা, শ্রাবণীরা
    বর্তমান | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • মনসুর হাবিবুল্লাহ, দিনহাটা: ঈদের সময় হাতে মেহেন্দি আঁকত আলমিনা। মেহেন্দির নকশা আঁকায় মন মজেছিল তাঁর। ওকড়াবাড়ি আলা বকশ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে বান্ধবীরা মিলে আলপনা দিল। শ্রাবন্তী রায়, সুপর্ণা সরকার পারুল বর্মনদের আলপনা আঁকা দেখে আলমিনার ইচ্ছে জাগে। সেও হাত লাগায় আলপনা আঁকার কাজে। শ্রাবন্তীরা ইউটিউব দেখে আলপনা আঁকা শিখেছে। বাড়ির লক্ষ্মীপুজোয় ইতিমধ্যে আলপনা এঁকেছে তারা। এবারে বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজোয় প্রথম তাদের আলপনা আঁকা। নবম শ্রেণির ছাত্রীদের সঙ্গে আলপনা আঁকায় হাত লাগিয়েছে সপ্তম শ্রেণির সাগরিকা সরকার। মেয়েরা যখন আলপনা আঁকায় ব্যস্ত, ছেলেরা তখন গিয়েছে প্রতিমা আনতে। দিনহাটার কুমোরটুলি থেকে সরস্বতী প্রতিমা আনতে সায়ন সরকার, দীপ সরকারের সঙ্গে গিয়েছে সাহিল পাটোয়ারী, রোহন আক্তাররাও। এবছরের সরস্বতী পুজোয় বিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য তারা। স্বেচ্ছাসেবক দলে নাসরিন পারভীন, উম্মে হাবিবাও রয়েছে। পুজোর দিন ফল কাটা থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণের কাজে সবাই মিলে সহযোগিতা করবে তারা। 


    ওকরাবাড়ি আলা বকস উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩২৬০ জন। তারমধ্যে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২৫৪৫। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় বিদ্যালয়ে প্রতি বছর সরস্বতী পুজো হয়। ছাত্রছাত্রীরা চাঁদা দেয়। বিদ্যালয়ের সকল ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় সরস্বতী পুজোর পাশাপাশি মিলাদ অনুষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়ে।


    বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রাবন্তী রায় বলে, লক্ষ্মীপুজোয় আলপনা এঁকেছি প্রথম। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আলপনা আঁকা শিখেছি। এবারে বিদ্যালয়ের সরস্বতী পুজোয় প্রথম আলপনা আঁকছি। বিদ্যালয়ের অন্য ছাত্রী আলমিনা খাতুন বলে, ঈদের সময় হাতে মেহেন্দি আঁকতে ভালো লাগত। এদিন বিদ্যালয়ে বান্ধবীদের আলপনা আঁকা দেখে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। চক দিয়ে আলপনা এঁকেছি বিদ্যালয়ে। 


    বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নবিউল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় প্রতি বছর সরস্বতী পুজো ও মিলাদ-উন-নবী অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ছাত্রীরা আলপনা আঁকায় ব্যস্ত এবং ছাত্ররা কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে এসেছে শনিবার।
  • Link to this news (বর্তমান)