নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলা চাওয়ার মামলাতে শনিবার দুপুরে শেক্সপিয়র সরণি থানায় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হল বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’কে। প্রায় ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের এই বিজেপি বিধায়ককে। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে বিজেপি এমএলএ স্বীকার করেছেন, কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের রুম বুক করতে দুষ্কৃতী দলটি যে সুপারিশপত্র জমা দিয়েছিল, তার সই এবং রাবার স্ট্যাম্পটি তাঁর নিজের। এমনকী প্যাডের পাতাটিও তাঁরই। কিন্তু প্যাডের পাতায় যে সুপারিশ লেখা হয়েছে সেটি তাঁর লেখা নয়, সেটা জাল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, দুষ্কৃতীদের হাতে বিধায়কের ছাপানো প্যাড গেল কী করে! জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে দু’বার ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ালেও শনিবার দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজির হন বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। তদন্তকারী অফিসার সহ থানার পদস্থ অফিসাররা তাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে তাঁর লিখিত বক্তব্য বা স্টেটমেন্ট রেকর্ড করেন তদন্তকারী পুলিস অফিসার। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে একদল দুষ্কৃতী ৫ লাখ টাকা তোলা চেয়েছিল কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে। বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বের কানে গেলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিস কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেল থেকে মূল অভিযুক্ত জুনেদুল হক চৌধুরী সহ মোট ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে উঠে আসে, বিজেপি বিধায়কের প্যাড ব্যবহার করে এমএলএ হস্টেলের ঘর বুক করে তোলাবাজি চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। এই মামলাতে মহম্মদ হামরাজ নামে এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক।