বইমেলায় বই পড়ার পাঠ, হাজির শহরের ২০ স্কুলের ৪০০ পড়ুয়া
বর্তমান | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বইয়ের বিকল্প বই-ই। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বই পড়ার উৎসাহ বাড়াতে অভিনব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল কলকাতা বইমেলায়। ১ ফেব্রুয়ারি বিধান শিশু উদ্যানের ৫০ বছর পদার্পণ উপলক্ষ্যে শনিবার বইমেলার ভিতরেই বই পড়ার পাঠ দেওয়া হল। উপস্থিত ছিল শহরের ২০টি স্কুলের প্রায় ৪০০ পড়ুয়া। অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছিল, ‘আমরা কেন বই পড়ব’। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী তপন মিশ্র, সাংবাদিক স্নেহাশিস সুর, সাহিত্যিক চঞ্চলকুমার ঘোষ, প্রব্রাজিকা আত্মকামা, সাহিত্যিক একরাম আলি এবং ইসরোর বিজ্ঞানী ডঃ অরুন্ধতী মিশ্র সহ অনেকেই। মহাকাশ বিজ্ঞানী তপনবাবু বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটবেই। ফলে, বাচ্চাদের হাতে মোবাইল, ট্যাব ইত্যাদি এসে গিয়েছে। কিন্তু, বই পড়ার আনন্দ কোনওভাবেই সম্ভব নয়। পড়াশোনার ক্ষেত্রে যন্ত্রের প্রয়োজন কতটুকু, সে ব্যাপারে প্রতিটি মা-বাবার খেয়াল রাখা উচিত। পাশাপাশি বই পড়ার ক্ষেত্রেও যাতে তাদের আগ্রহ বাড়ে, সেদিকে নজর রাখা দরকার। প্রব্রাজিকা আত্মকামা বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা কান্নাকাটি করলে মোবাইল ধরিয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় খেতে না চাইলে মোবাইলে গেম চালিয়ে দেওয়া হয়। মোবাইলের মাধ্যমে ছোটদের শান্ত করার চেষ্টার মধ্যেই বই না পড়ার অভ্যাসের সূচনা হয়। পরবর্তীকালে তাদের চোখ ও মস্তিষ্কে তা প্রভাব ফেলে। এদিন সুনির্মল চক্রবর্তী রচিত এবং সুব্রত চৌধুরী অলঙ্কৃত ‘যাচ্ছে সবাই অবাকপুরে’ এবং চঞ্চলকুমার ঘোষ রচিত ‘সাদা হাতি ও নীল পাহাড়ের রহস্য’ দু’টি বইয়েরও উদ্বোধন হয়। নিজস্ব চিত্র