এই সময়: ‘দাদা, ও দাদা! বলছি ইউপিআই পেমেন্ট হবে? আচ্ছা আপনাদের স্টলে ওয়াইফাই আছে? না হলে পেমেন্ট করতে পারব না। ক্যাশ যা ছিল সব শেষ!’ ২০২৫ বইমেলার রিংটোন কার্যত এটাই।
কলকাতা বইমেলার প্রথম শনিবার। শীত গিয়েছে, তবে কুয়াশার চাদর সরেনি। সে সবে থোড়াই পরোয়া বইপ্রেমীদের। মাস পয়লায় ভিড় উপচে পড়ল সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের মেলা চত্বরে। বড় থেকে মেজো, ছোট-সব স্টলই এ দিন ভিড়ে ভর্তি। কচিকাঁচাদেরও ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে গত কয়েক বারের মতো এ বারও খাবারের স্টল গুনে গুনে গোল দিয়েছে বইয়ের স্টলকে। তবে মেলায় উইকএন্ডের বিক্রিবাটায় খুশি বিভিন্ন প্রকাশনীর কর্ণধাররা।
শেষের দিকে ভিড় বেড়ে যাবে বলে উত্তর শহরতলির শ্যামনগর থেকে আট বছরের মেয়েকে নিয়ে মেলায় এসেছিলেন সুমন্ত চক্রবর্তী। সত্যজিতের ‘গুগাবাবা’ টিভিতে দেখেছে মেয়ে। উপেন্দ্রকিশোরের সেই বই নতুন করে মুদ্রিত হয়েছে। সেটা পেয়ে গেলেন শিশু সাহিত্য সংসদে। গড়িয়ার কলেজ পড়ুয়া শ্রীতম সরকার বান্ধবীকে নিয়ে বইমেলায় এসেছিলেন। তাঁর চাহিদা ছিল খেলার বই। পছন্দমতো সব বই পেয়ে গেলেন দীপ প্রকাশনের স্টলে। বসাক বুক স্টলে বিভিন্ন বই উল্টে পাল্টে দেখছিলেন প্রৌঢ় সুমিত ভট্টাচার্য। আচমকা এনএসজি কম্যান্ডো নিয়ে একটি বই পেয়ে তখনই বিল করিয়ে মেলার মাঠে পড়তে বসলেন।
অনেকেই আছেন, যাঁরা প্রায়ই মেলায় আসেন। সল্টলেকের শুভজিৎ সরকার তাঁদেরই এক জন। শনিবারের মতো গত তিন দিনই মেলায় এসে স্টলে স্টলে ঘুরে রেকি করেছেন। শুভজিৎ বললেন, ‘আজকাল বইয়ের অনেক দাম। তাই একটু নেড়েচেড়ে দেখি। অনেক দেখে বই সিলেক্ট করে কিনি।’ ভূতের বইয়ের প্রতি অমোঘ আগ্রহ চুঁচুড়ার সমর নাগের। বুক ফার্মের নতুন বই মহিলা ভূতের সংকলন ‘পেত্নি সমগ্র’ বড়ই মনে ধরেছে তাঁর। শঙ্খ ঘোষের ‘বন্দনার বাগান’ বইটি নিঃশেষিত হয়ে গিয়েছিল বলে এবার ফের নতুন করে ছেপেছে বিএসইউ পাবলিকেশন। সেই বই এ বারেও হটকেক।