• সৃজিত, লাভ-হেট ল্যাঙ্গুয়েজ ও পরমব্রত-অনির্বাণের সাক্ষ্য
    এই সময় | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ তো হয়–ই। কিন্তু লাভ-হেট ল্যাঙ্গুয়েজ? তা–ও সেটা আবার এক পরিচালক ও অভিনেতাদের ল্যাঙ্গুয়েজ এবং পরিচালকের নাম সৃজিত মুখোপাধ্যায়! সৃজিতের ছবি তৈরির সময়ে এই ল্যাঙ্গুয়েজ আসলে ক্যামেরার পিছনের গপ্পো। শনিবার কলকাতা বইমেলার ১৯০ নম্বর স্টলে, মানে ‘এই সময়’-এর স্টলে সেই অজানা কথা সামনে আনলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।

    অভিনেতাদের অনেকের কাছে চড়া মেজাজের কারণে পরিচালক সৃজিতের বরাবরের ‘সুনাম’। তবে পরমব্রতর কাছ থেকে জানা গেল, এই লাভ-হেট ল্যাঙ্গোয়ুজ হলো সৃজিতের সঙ্গে অভিনেতাদের অনন্য এক কেমিস্ট্রি।

    ‘এই সময়’–এর স্টলে এ দিন আলোচনা জমে ওঠে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’-কে কেন্দ্র করে। আলোচনায় ছিলেন সৃজিত, পরমব্রত এবং অনির্বাণ চক্রবর্তী। সৃজিত ও অনির্বাণ, দু’জনেই ওই ছবিতে অভিনয় করেছেন। আলোচনায় ‘এই সময়’–এর তরফে সঞ্চালক অনির্বাণ ভট্টাচার্য প্রশ্ন করেছিলেন, এমন কিছু কি আছে, সিক্রেট, যা কেউ জানে না?

    অভিনেতা অনির্বাণ উত্থাপন করলেন সৃজিতের সেই ভালোবাসার অত্যাচারের প্রসঙ্গ। তিনি জানালেন, ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’–তে পরিচালকের নির্দেশে সমুদ্রে নেমে কোনও অভিনেতাকে বুক সমান জলে, আবার কাউকে একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবে ছবি শেষ হলে তাঁদের আর কোনও আক্ষেপ যে থাকে না, সে কথাও অনির্বাণ বললেন। অবশ্য সৃজিতের বক্তব্য, তাঁদের নিজেদের মধ্যে যে রসায়ন থাকে, সেটা লাভ ল্যাঙ্গুয়েজ। ভুল ধরিয়ে পরমব্রত বললেন, ‘ল্যাঙ্গুয়েজ তো অবশ্যই। কিন্তু সেটা লাভ-হেট।’ হাততালি তখন আর থামছে না ‘এই সময়’–এর স্টলে ভিড় করে থাকা অসংখ্য বইপ্রেমীর।

    ২০১০ সালে লেখা চিত্রনাট্য নিয়ে ছবি বানাতে কেন এত সময় লাগল? সৃজিত বললেন, ‘এই ছবিতে পরম যে চরিত্রটা করেছে, সেটা ঋতুদার (প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ) করার কথা ছিল। ঋতুদার চলে যাওয়া একটা বড় কারণ। আর ছবির স্বত্ব নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল। পরে যখন জানতে পারলাম যে, হিন্দিতে ‘এক রুকা হুয়া ফয়সলা’–র রিমেক হচ্ছে, তখন দ্রুত জটিলতা মিটিয়ে ছবি তৈরির কাছে হাত দিই।’

    ওই চরিত্রের অফার পাওয়ার পর তাঁর কী মনে হয়েছিল? পরমব্রতর জবাব, ‘অভিনয়ে আমার দু’দশক হয়ে গেল। লোকে ভেবে নেয়, পুলিশ অথবা চুমু খাওয়ার চরিত্র মানেই আমি করব। ফলে যে টুকু ঘিলু এখনও আমার মস্তিষ্কে রয়েছে, সে টুকুকে যদি কিছু খোঁচা না–দেয়, তা হলে আর অভিনয় করতে মন চায় না।’ একের পর এক একেনবাবুর ওয়েবসিরিজ়, ছবি। তা হলে কি অনির্বাণ টাইপকাস্ট হয়ে যাচ্ছেন? অভিনেতার নিজের বক্তব্য, ‘একেবারেই তা নয়। আমার জনপ্রিয়তার অনেকখানি জুড়ে অবশ্যই একেনবাবু রয়েছে। তবে অন্য চরিত্রেও দর্শকরা আমাকে যথেষ্ট পছন্দ করেন।’

  • Link to this news (এই সময়)