রবিবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলা। সকালের দিকে দৃশ্যমানতা ১০০ মিটারে নেমে এসেছিল অধিকাংশ জায়গায়। আর আবহাওয়ার এই মতিগতির প্রভাব পড়ে কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবার উপরেও। বেশ কিছু উড়ান ছাড়তে দেরি হয় কুয়াশার কারণে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন ভোর ৫টা ৪০মিনিট নাগাদ লো ভিজ়িবিলিটি প্রসিডিওর (এলভিপি) চালু করা হয়। উল্লেখ্য, কোনও বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা কম থাকলে এলভিপি চালু করা হয়, যাতে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়। এলভিপি চালু করার পরে এ দিন সকাল ৮টা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে মোট ১৭টি উড়ান অবতরণ করতে পেরেছে এবং ২২টি বিমান গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। দৃশ্যমানতা কম থাকার জন্য ১টি উড়ানের অবতরণ ও ১০টি উড়ান কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ছাড়তে দেরি করে। পাশাপাশি কুয়াশার কারণে একটি উড়ানকে কলকাতার পরিবর্তে অন্য বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। কুয়াশায় উড়ান দেরিতে ছাড়া এবং অবতরণের কারণে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। গন্তব্যে পৌঁছতে দেরি হয় তাঁদের। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যাত্রীদের একাংশ।
প্রসঙ্গত, এ দিন সকাল থেকেই কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায়। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। বরং কুয়াশাচ্ছন্নই ছিল আকাশ। দিনভরই আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা। তবে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। মোটের উপরে সরস্বতী পুজোর দিনে রোদ-বৃষ্টি-শীতের বদলে ‘দাদাগিরি’ দেখাচ্ছে কুয়াশা।