এই সময়: যদি দেখা যায় মাঝরাতে রাতটাও ফিরিয়ে গেল! তা হলে পাশে ধরার একটা হাত দরকার। কোন হাত? অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে হাত ধরার জন্য জেনারেল কামরায় টিকিট কেটে টয়লেটের ধারে দেড় দিন বসে চলে যাওয়া যায় অক্লেশে?
অভিনেতা সোহিনী সরকারের আবার প্রশ্ন, এমন প্রেম কি এই যুগে সম্ভব? প্রেম নিয়ে বিতর্ক যুগে যুগে ছিল, সে লায়লা-মজনু থেকে বীর-জ়ারা? কিন্তু বর্তমানে বিতর্ক প্রেম নাকি সিচুয়েশেনশিপ।
আর শনি-সন্ধ্যায় এই বিষয়ে তর্ক জমে উঠল বইমেলায় ১৯০ নম্বর এই সময়-এর স্টলে। বিতর্ক জমিয়ে দিলেন বিক্রম এবং সোহিনী। এই সময়ে এমন বিতর্কে তাঁরাই তো যোগ দেবেন। কারণ তাঁদের ছবি অমরসঙ্গী সদ্যই মুক্তি পেয়েছে। যে ছবিতে প্রেম জীবন-মৃত্যুর সীমানা ছাড়িয়ে। সোহিনী-বিক্রমকে দেখতে বিস্তর ভিড় জমল এই সময়ের স্টলে।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে প্রেম কি আদৌ গুরুত্ব পায়, নাকি সিচুয়েশনশিপই ভবিতব্য? দু’জনেই একমত— প্রেম প্রেম এবং প্রেম, সিচুয়েশনশিপ কোনও ভাবেই নয়। কিন্তু সেই প্রেম কেমন হবে? সোহিনী মনে করেন, প্রেম মানে দু’জনের মধ্যে সীমাহীন বন্ধুত্ব, পারস্পরিক বোঝাপড়া। কিন্তু প্রেম নিয়ে কোনও টিপস সেই অর্থে দিতে রাজি নন সোহিনী!
তিনি বললেন, ‘আমি কী করে এই বিষয় নিয়ে বলব। তা হলে তো আমার এতগুলো প্রেম ভেঙে গেল কী করে?’ কিছুটা খোঁচা দিয়ে বিক্রম বললেন, ‘সোহিনী এই বিষয় নিয়ে কী করে বলবে? ও বড় জোর বলতে পারে প্রেম না বিয়ে।’ তবে বিক্রম নিজেকে প্রেমিক হিসেবে একশোয় একশো দিলেও প্রেম নিয়ে কোনও টিপস তিনিও দিতে রাজি হলেন না।
তাঁর বক্তব্য, ‘আমি তো আরওই বলতে পারব না। আমি তো আজ পর্যন্ত কোনও প্রেমই টিকিয়ে রাখতে পারিনি।’ তবে ২০০৮ সালে ছোট চাকরি করতে করতে সম্পর্ক ভাঙতে চাওয়া প্রেমিকার রাগ ভাঙাতে জেনারেল টিকিটে পাড়ি দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরু।
তবে দিনের শেষে প্রেম মানে কিন্তু দু’জনের ভালো এবং কালোকে বুঝে, সব কিছু মেনে নিয়েও একসঙ্গে বাস। সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখা। তবে নতুন ত্যাগে বিশ্বাস করলেও সেই ত্যাগকে বয়ে নিয়ে যেতে চায় না। সেই জন্য ইনস্ট্যান্য নুডলস-এর মতো প্রেম ভাঙছে। আরও একটা কারণ, একটা সম্পর্ক ভাঙলে সহজেই কোনও অ্যাপের মাধ্যে কোথাও না কোথাও কারওর সঙ্গে সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলা যাচ্ছে।