• ক্যাব সংস্থাগুলির সফটওয়্যারে নজরদারি চালাবে রাজ্য, যাত্রী হয়রানি রুখতে পদক্ষেপ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অ্যাপ ক্যাবে যাত্রী হয়রানি অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আবার ক্যাব চালকরাও বিবিধ সমস্যায় পড়ে থাকেন। তাই অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজ্য সরকার আগেই বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। এবার অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির সফটওয়্যারের ওপর নজরদারি চালাবে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি পরিবহণ মন্ত্রী অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার অ্যাপ সংস্থাগুলির সফটওয়্যার অ্যাক্সেস করবে। অর্থাৎ এর ফলে এই সংস্থাগুলির সফটওয়্যারে ঢুকে রাজ্য সরকার খুঁটিনাটি বিষয়ে জানতে পারবে। এর ফলে যাত্রী হয়রানি রোখা যেমন সম্ভব হবে, তেমনি অন্যান্য বিষয়ে নজরদারি চালানো যাবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। তাতে সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা আরও সহজ হবে।


    পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে অ্যাপ ক্যাব নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশে ছিল।না রাজ্যের। তবে এখন নির্দিষ্টভাবে অ্যাপ-ক্যাব নীতি চালু হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল যাত্রী এবং ক্যাব চালকদের স্বার্থ রক্ষা করা। জানা যাচ্ছে, ক্যাব সংস্থাগুলির কাছ থেকে গাড়ির ভিত্তিতে রাজস্ব আদায় করে থাকে রাজ্য। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই ক্যাব সংস্থাগুলি রাজ্য সরকারকে নথিভুক্ত গাড়ির সংখ্যা কম দেখিয়ে থাকে। তাতে রাজ্যের রাজস্ব আদায়ে ক্ষতি হচ্ছিল। এছাড়াও, যাত্রীর সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রায়ই ঘটে। সেগুলি এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছিল ক্যাব সংস্থাগুলির মধ্যে। তবে এবার সেই প্রবণতা কমবে। কারণ রাজ্য সরকার সরাসরি সংস্থাগুলির সফটওয়্যারে ঢুকে তা নির্দিষ্টভাবে জানতে পারবে। ফলে সংস্থাগুলির পক্ষে দায় এড়িয়ে চলা বা ভুল তথ্য দেখানো সম্ভব হবে না।

    এর পাশাপাশি বলা হয়েছে, যে অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলিকে ৭ দিনের মধ্যে নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে আবেদন করতে লাগবে ১০ হাজার টাকা এবং লাইসেন্সের জন্য প্রদান করতে হবে ৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া, লাইসেন্স রিনিউ, ডুপ্লিকেট লাইসেন্স ঠিকানা বদলের জন্য আড়াই হাজার টাকা ফি দিতে হবে। পাশাপাশি সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসেবে সংস্থাগুলিকে রাজ্য সরকারকে দিতে হবে ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য নজরদারি চালাবে পরিবহণ দফতর। প্রয়োজনের পুলিশও নজরদারি চালাবে। এই নীতি কার্যকর হলে যাত্রী হয়রানি রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)