সরস্বতী পুজোর দিনে কলকাতার যোগেশচন্দ্র ল কলেজে উত্তেজনা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কলেজে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, তাঁরা কলেজের মধ্যে সুরক্ষিত বোধ করছেন না। পড়ুয়ারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও দিতে থাকেন। কলেজে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দাবি করেন তাঁরা।
এ দিন বেলা ১টা ৫০ মিনিটে ওই কলেজে পৌঁছন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ও। তাঁরা অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বেশ কিছুক্ষণ। এরপর ব্রাত্য বলেন, ‘কোর্টের নির্দেশে পুজো হচ্ছে। অধ্যক্ষ নিজে রয়েছেন। এসেছি পুজো দেখতে। আজ দাবি-দাওয়ার দিন নয়।’ কিন্তু পরে ব্রাত্যর সামনে কেঁদে ফেলেন এক ছাত্রী। পড়ুয়ারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান বারংবার। এরপর পড়ুয়াদের চারজনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি হন শিক্ষামন্ত্রী। বৈঠকের পরে পড়ুয়ারা জানান, শিক্ষামন্ত্রী পুজোর জায়গা ঘুরে দেখতে চেয়েছেন।
যোগেশচন্দ্র ডে কলেজ ও যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের একই ক্যাম্পাস। ল কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁরা যেখানে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেন, সেই জায়গা দখল করেছে বহিরাগতরা। এই ঘটনায় আদালতের হস্তক্ষেপ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ছাত্রী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত জানান, পুজো হবে এবং পুলিশকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
কলেজের পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ ছিল, সাব্বির আলি নামে এক বহিরাগত কলেজে ঢুকে হুমকি দিচ্ছে। চারু মার্কেট থানার পাশাপাশি অধ্যক্ষের কাছেও এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দেন পড়ুয়ারা। সরস্বতী পুজোর দিনে বহু পড়ুয়া দাবি করেন, তাঁরা ক্যাম্পাসে সুরক্ষিত বোধ করছেন না।