নিউ টাউনে এ বার অনলাইন গেমের প্রতারণা-চক্র ধরা পড়ল। চক্রের ১০ জন সদস্যকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে এক কোটি টাকা আটক করেছে নিউ টাউন থানা। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত প্রচুর সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার অভিযুক্তদের বারাসত আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠান বিচারক।
নিউ টাউনের আবাসিক এলাকায় বহু দিন ধরেই বাণিজ্যিক কাজকর্ম চলছে। অধিকাংশই ‘নিউ টাউন-কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনকেডিএ)-র অনুমোদন নেয়নি। তেমনই এক আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ধরা হয়েছে ভুয়ো অনলাইন গেমের পান্ডাদের। চক্রটি দুবাই থেকে চালানো হত। ধৃতেরা উত্তরাখণ্ড ও ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা।
তদন্তকারীরা জানান, প্রায় দেড় মাস আগে প্রতারণা-চক্রটি শুরু হয়েছিল ওই ফ্ল্যাটে। ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়ার আগে মালিক আদৌ কিছু জানতেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ফ্ল্যাট থেকে মিলেছে প্রচুর নথি, ১০০টি সিম কার্ড, ১০০টি পাসবই, ১০০টি এটিএম কার্ড।
এর আগেও অনলাইন প্রতারণার বড়সড় চক্র ধরা পড়েছিল নিউ টাউনে। বছর দুয়েক আগে সেখানে একটি প্রতারণা-চক্র ধরা পড়ার পরে তাদের ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়। ওই চক্রেরও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ছিল। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের সহায়তা নিয়েছিল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অনলাইন গেমের এই চক্রটি গ্রাহকদের বিপুল অঙ্কের টোপ দিত। অনলাইনে তাস, লুডো-সহ নানা ধরনের খেলায় পাওয়া পয়েন্টের মাধ্যমে অর্থ পাইয়ে দিয়ে প্রথমে গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করত। তার পরে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করিয়ে গ্রাহককে লাভের টাকা আর ফেরত দিত না।সবটা নিয়ন্ত্রণ করা হত দুবাই থেকে। ধৃতেরা মূলত মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করত।
সম্প্রতি চিনার পার্কের দু’টি অফিসে হানা দিয়ে ভুয়ো কল সেন্টার থেকে ১৫ জনকে ধরেছে রাজ্য পুলিশের সাইবার শাখা। সাম্প্রতিক সময়ে বিধাননগরে ছোট-বড় এই ধরনের বেশ কয়েকটি অনলাইন প্রতারণা-চক্রের হদিস মিলেছে।